সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান বরাবরই শান্তিপ্রিয়। আমরা প্রতিবেশি দেশগুলিকে সম্মান করি। আমরা চাই সব সময়ে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন থেকে এমনই বার্তা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কিন্তু মোদির সামনে কেন সুর নরম করলেন তিনি? বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে ভারত-চিন-রাশিয়া যে নতুন অক্ষ তৈরি হয়েছে, তাতেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
এসসিও সম্মেলনে শাহবাজ বলেন, “পাকিস্তান তার প্রতিবেশী দেশগুলি-সহ সকল এসসিও সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে সমর্থন করে এবং সম্মান করে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সর্বদা বহুত্ববাদ, আলোচনা এবং কূটনৈতিক শক্তিতে বিশ্বাসী। একতরফাভাবে কোনও কিছু করাকে সমর্থন করে না। তবুও, গত কয়েক মাসে এই অঞ্চলে অত্যন্ত বিরক্তিকর কিছু ঘটনাবলী দেখা গিয়েছে। এতে আমরা হতাশ এবং মর্মাহত।” এরপরই সিন্ধু চুক্তির প্রসঙ্গ উথ্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এসসিও সদস্যদের চুক্তি অনুযায়ী, জলের নিরবচ্ছিন্ন বণ্টন মেনে চলা হলে এসসিও আরও সুষ্ঠুভাবে কাজ করবে এবং শক্তিশালী হবে।”
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পরই সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। তারপর অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। নিকেশ হয় শতাধিক জঙ্গি। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে সংঘর্ষবিরতিতেও সায় দিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু সংঘর্ষবিরতিতে সায় দিলেও সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। বিষয়টি একাধিকবার পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানায় ইসলামাবাদ। কিন্তু তাতে বিশেষ আমল দেয়নি ভারত।
প্রসঙ্গত, সোমবার এসসিও সম্মেলনে পহেলগাঁও প্রসঙ্গ উথ্থাপন করেন মোদি। তাঁর কথায়, “এই হামলা মানবতায় বিশ্বাসী প্রতিটি দেশ এবং ব্যক্তির কাছে একটি খোলা চ্যালেঞ্জ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কিছু দেশের প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আমাদের একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করতে হবে। এটা আমাদের কর্তব্য।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.