Advertisement
Advertisement
Ukraine

রকেট থেকে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, আমেরিকা যেন ইউক্রেনের ‘গৌরী সেন’

প্রত্যাঘাতে কিয়েভকে হাতিয়ার জোগাচ্ছে আমেরিকা।

US to give Ukraine new $400 million military aid package | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 22, 2023 9:36 am
  • Updated:July 22, 2023 9:36 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে রাশিয়া। পালটা, কাউন্টার অফেন্সিভ শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। এই প্রত্যাঘাতে কিয়েভকে হাতিয়ার জোগাচ্ছে আমেরিকা। তুলনামূলক ভাবে ‘লিলিপুট’ ইউক্রেনীয় সেনার এহেন ‘বীরত্বে’ অনেকেই মনে করছেন আসলে ময়দানে লড়াই হচ্ছে আমেরিকা বনাম রাশিয়ার। এই প্রেক্ষাপটে ফের কিয়েভের জন্য বিশেষ সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করল ওয়াশিংটন।

Advertisement

রয়টার্স সূত্রে খবর, ইউক্রেনের জন্য ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলারের বিশেষ সামরিক প্যাকেজ গোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। এই প্যাকেজের অন্তর্গত কিয়েভকে একগুচ্ছ সারফেস টু এয়ার মিসাইল দেবে আমেরিকা। দেওয়া হবে স্ট্রাইকার সাজোয়াঁ গাড়ি। রাশিয়ার বিপদ বাড়িয়ে ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী জ্যাভলিন মিসাইল, স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র ও হিমারস রকেট সিস্টেমেও দেবে ওয়াশিংটন। এই বিশেষ সামরিক প্যাকেজে থাকছে বিমান বিধ্বংসী হাতিয়ার বলেও খবর।সবমিলিয়ে, আমেরিকা যেন ইউক্রেনের ‘গৌরী সেন’।  

তাৎপর্যপুর্ণ ভাবে, ন্যাটো জোটের সঙ্গে রুশ ফৌজের সরাসরি সংঘাত হলে চরম বিপর্যয়ের মুখে বিশ্ব পড়বে বলে আগেই হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত বছর কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় একটি সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “যদি কোনওভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে ন্যাটো বাহিনী ও রাশিয়ার সেনার মধ্যে সরাসরি সংঘাত তৈরি হয়, তাহলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বিশ্ব। আমি আশা করছি যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা এমন পদক্ষেপ করবেন না।”

[আরও পড়ুন: কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরে ভয়াবহ রুশ হামলা, খাদ্য সংকটের মুখে দুনিয়া!]

সম্প্রতি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নিষিদ্ধ’ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে বিতর্কে জড়িয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভকে এই ভয়াবহ হাতিয়ার দিয়েছে আমেরিকা। ক্লাস্টার বোমা এতটাই ভয়ংকর যে বিশ্বের ১২০টি দেশ এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। রাশিয়ার হুমকি উড়িয়ে ইউক্রেনে (Ukraine) নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা পাঠাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত কড়া আইনের ফাঁক গলে এই ‘রণকৌশল’ নিয়েছে হোয়াইট হাউস। ডেমোক্র্যাট পার্টির অন্দরেও এনিযে ক্ষোভ রয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলিও। ইউরোপের কিছু মিত্র দেশ বাইডেনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।

[আরও পড়ুন: ভোটের আগে ধাক্কা ঋষি সুনাকের, উপনির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ আসনে হার কনজারভেটিভদের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ