সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ আমেরিকার। এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপাল ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও রাশিয়ার সেনাপ্রধান ও ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার ভালেরি গেরাসিমোভের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন প্রশাসন।
Imposing sanctions on President Putin & 3 members of Russia’s Security Council responsible for invasion of Ukraine: Foreign Affairs Min Sergei Lavrov,Defense Min Defense Sergei Shoigu,& 1st Dy Defense Min & Chief of Gen Staff of Armed Forces of Russian Federation Valery Gerasimov
Advertisement— ANI (@ANI)
বিবিসি সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রুশ বিদেশমন্ত্রীর উপর ব্যক্তিগত স্তরে একগুচ্ছ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা। ফলে সেই দেশগুলিতে থাকা পুতিনের সমস্ত সম্পত্তি ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা তালিকায় থাক ব্যক্তিদের ভ্রমণের উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। বিশ্লেষকদের মতে, এখনই সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যেতে চাইছে না আমেরিকা। তাই ন্যাটোরও হাত-পা কার্যত বাঁধা। কিন্তু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাইছে তারা। যদিও সেই পদক্ষেপ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, বিগত কয়েকবছরে কয়েকশো বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিরাট বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার গড়ে তুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ফলে রাশিয়ার অর্থনীতি ও মিলিটারিকে পঙ্গু করতে আমেরিকা ও মিত্রশক্তি যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে তার মার অনেকটাই সামলে নেবে মস্কো।
বিশ্লেষকদের মতে, কিয়েভ দখল আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা! শুক্রবার দুপুরের পর থেকে খোঁজ মিলছিল না ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। মনে করা হচ্ছিল, প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে কপ্টারে চেপে নিরাপদ দেশে পালাবেন হয়তো। কিন্তু না। রাত গড়াতেই ভিডিও বার্তা দেন জেলেনস্কি। বললেন, “কোথাও যায়নি। এখানেই আছি। দেশকে রক্ষা করছি।” এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয় জেলেনস্কির। সামরিক সাহায্য নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানান ইউক্রেন প্রধান।
উল্লেখ্য, এখনই ইউক্রেনে যুদ্ধে জড়াচ্ছে না ন্যাটো (NATO) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। তবে রুশ আগ্রাসনের দিকে নজর রেখে মিত্র দেশগুলিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে। প্রস্তুত থাকবে সেনা এবং যুদ্ধবিমান। ইউক্রেনের (Ukraine) পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শুক্রবার রাতে এমনটাই ন্যাটোর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, কিয়েভকে ‘রাজনৈতিক’ ও ‘বাস্তবিক’ সাহায্য করবে ন্যাটো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.