Advertisement
Advertisement
তেল

জ্বালানির বাজারে করোনার থাবা, ফের নিম্নমুখী মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম

করোনা ত্রাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা তলানিতে নেমেছে।

US crude prices tumble amid fear of negative price
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 28, 2020 8:45 am
  • Updated:April 28, 2020 8:45 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ত্রাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা তলানিতে নেমেছে। বিশ্ববাজারে একসময় যে তেলের দাম ১০০ ডলারের উপরে ছিল, এখন ১৫ ডলারে নেমে এসেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব-সহ রফতানিকারক দেশগুলিতে বিক্রি না থাকায় মজুত বেড়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে জয়ের ইঙ্গিত ইটালির! ৪ মে থেকেই শিথিল হচ্ছে লকডাউন]

সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে ফের দাম কমেছে অপরিশোধিত তেলের। আমেরিকায় অপরিশোধিত তেলের দাম ১.৪৯ ডলার বা ৮.৮ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল দাঁড়ায় ১৫.৪৫ ডলারে। লন্ডনের ব্রেন্ট তেলের দাম ৪৪ সেন্ট বা ২.১ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল হয়েছে ২১ ডলার। এছাড়া গত ৯ সপ্তাহের মধ্যে আট সপ্তাহেই আমেরিকায় অপরিশোধিত তেলের দাম ৭ শতাংশ এবং ব্রেন্ট তেলের দাম ২৪ শতাংশ কমেছে।এদিকে গত সপ্তাহে আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম অপরিশোধিত তেলের দাম শূন্য ডলারের নিচে নেমে যায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম ১১০ ডলার ছিল। কিন্তু পরে অর্থনৈতিক মন্দার জেরে দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে শিল্প-কারখানা সব বন্ধ। লকডাউনের জেরে বন্ধ পরিবহণও। এই চাহিদা কমায় তেলের দাম কমে গিয়েছে। দুই মাসে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে ৩০ শতাংশ। সিডনিতে সিএমসি মার্কেটের প্রধান বিশ্লেষক মিখায়েল ম্যাকার্থি বলেন, “তেলের দাম কমার কারণ হচ্ছে আমেরিকায় বিপুল মজুত থাকলেও বিশ্ববাজারে চাহিদা কমেছে ব্যাপকভাবে।”

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের শুরুতেই আমেরিকায় জ্বালানি তেলের সূচক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টামিডিয়েট (ডব্লুটিআই)-এর দাম অর্থাৎ তেলের দাম শূন্য ডলারের নিচে চলে যায়। । ১৯৮৩-র পর যা সর্বনিম্ন। এর আগে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেলের ব‌্যারেল প্রতি দাম ৪৫ শতাংশ কমে ১০.০১ ডলার হয়। যা ১৯৮৬ সালের পর সর্বনিম্নই শুধু নয়, ১৯৮২ সালের পর তেলের দামে একদিনে এতটা পতন হয়নি। উল্লেখ‌্য, কয়েকদিন আগে এশিয়ার বাজারে ডাব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানী তেল ব্যারেল প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৪ শতাংশ কমে ১৫.৬৫ ডলারে। ১৯৯৯ সালের পর তেলের দর এত নিচে আর নামেনি। তবে বিনিয়োগকারীরা জুন মাস নাগাদ তেলের দাম আবার উঠতে পারে বলে আশা করছে। করোনার কারণে চাহিদা একেবারে কমে যাওয়ায় তেলের বাজার বড় ধরণের সঙ্কটের মুখে পড়েছে। আমেরিকার রিজার্ভারগুলো নতুন উত্তোলিত তেল রাখার জায়গা পাচ্ছে না। ফলে দাম আরও কমে যাচ্ছে। মার্চ থেকে আমেরিকার রিজার্ভারগুলিতে তেল রিজার্ভের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে এগুলোতে নতুন করে তেল রাখা যাবে না।

[আরও পড়ুন: করোনায় ত্রস্ত আমেরিকা, মাত্র ৩৭ দিনেই ভেন্টিলেটর নির্মাণ করল নাসা]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement