Advertisement
Advertisement
Uighurs forced to eat pork

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত! জোর করে শুক্রবারে উইঘুর মুসলিমদের শুয়োর খাওয়াচ্ছে চিন

ইসলামফোবিয়া নিয়ে ফ্রান্স ও ভারতের সমালোচনা করলেও এবিষয়ে চুপ রয়েছে পাকিস্তান।

Uighurs forced to eat pork as China expands Xinjiang pig farms
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 4, 2020 3:37 pm
  • Updated:December 4, 2020 3:37 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশের কিছু জায়গায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি হওয়ার পর থেকে উইঘুর মুসলিমদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে চিন। দেশের একদম পশ্চিমে অবস্থিত উইঘুর অধ্যুষিত এই প্রদেশে বসবাসকারী মানুষদের উপর অত্যাচারের কাহিনী শুনে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। তারপরও কোনও হেলদোল নেই শি জিনপিংয়ের সরকার। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি কিংবা ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন সবাই এই বিষয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও লাভ হয়নি কোনও। বরং যে কোনও মূল্যে উইঘুর সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য সবরকম চেষ্টাই চালানো হচ্ছে। এবার জানা গেল, ইসলাম ধর্মের পবিত্র দিন শুক্র অর্থাৎ জম্মুবারে বন্দিশিবিরে থাকা উইঘুর (Uighurs) মুসিলমদের জোর করে শুয়োরের মাংস খাওয়াচ্ছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।

Advertisement

সম্প্রতি শিনজিয়াংয়ের একটি রি-এডুকেশন ক্যাম্পে বকলমে বন্দিশিবিরে দুর্বিষহ জীবন কাটানো দুই সন্তানের মা সায়রাগুল সাউথবে (Sayragul Sautbay) নিজের লেখা একটি বই প্রকাশ করেছেন। তাতে উল্লেখ করা দিনগুলির স্মৃতি আজও তাঁকে রাতে ঘুমোতে দেয় না। বর্তমানে শিনজিয়াংয়ের ওই বন্দিশিবির থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে সুইডেনে থাকলে পুরনো দিনের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায়। আজ একজন সফল চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ হওয়ার পরেও যা ভুলতে পারেননি সায়রাগুল।

[আরও পড়ুন: গাঁজা ও চরস বিপজ্জনক মাদক নয়! রাষ্ট্রসংঘের ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্তে সায় ভারতেরও]

বই প্রকাশের পর একটি সাক্ষাৎকারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই ক্যাম্পে প্রতি শুক্রবার আমাদের জোর করে শুয়োরের মাংস (pork) খাওয়ানো হত। ইচ্ছা করেই মুসলিমদের কাছে পবিত্র ওই দিনটি বেছে নিয়েছিল ওরা। কেউ ওই মাংস খেতে না চাইলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হত। আসলে ওরা আমাদের চিন্তাধারা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার-আচরণগুলিকে আমাদের মন থেকে মুছে দিতে চাইত। ওদের প্রচেষ্টা যে সত্যিই কাজ করে তার প্রমাণও বহুবার পেয়েছি। যখনই বাধ্য হয়ে শুয়োরের মাংস খেতাম তখনই নিজেকে পুরো অন্য মানুষ মনে হত। আমার চারিদিক অন্ধকার হয়ে যেত। সত্যি এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর ছিল।’

[আরও পড়ুন: মৌলবাদী কাজকর্মে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ, ৭৬টি মসজিদ বন্ধের পরিকল্পনা ফ্রান্সের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ