Advertisement
Advertisement
Turkish Navy Ship

ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই করাচিতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত!

যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের করাচি আগমন মোটেই সহজভাবে দেখছে না বিশেষজ্ঞমহল।

Turkish Navy Ship Arrives In Pakistan's Khi Port Amid India-Pak Tensions Over Pahalgam Attack
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:May 5, 2025 9:43 am
  • Updated:May 5, 2025 10:15 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের দুন্দুভি বেজে উঠেছে এশিয়ার মাটিতে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝেই এবার করাচির বন্দরে ভিড়ল তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ। রবিবার পাক নৌসেনার তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, দুই দেশের সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বুয়ুকডা পাকিস্তানে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় বড় সড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছে ওয়াকিবহাল বহল।

Advertisement

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতে চলা এই সন্ত্রাসের কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। এরপর থেকেই দুই দেশের কূটনৈতিক সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি। ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর পাশাপাশি মোদি সরকারের তৎপরতা ইঙ্গিত দিচ্ছে পাকিস্তানের মটিতে শীঘ্রই হয়ে পারে বড়সড় হামলা। অন্যদিকে, ভারতের প্রত্যাঘাত সামাল দিতে বন্ধু দেশগুলির সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তাদের বন্ধু তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চিন ও তুরস্ক। সামরিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অন্যতম বড় সাহায্যকারী দেশ এই তুরস্ক। আগেও পাকিস্তানকে আগোস্টা ৯০বি ক্লাস সাবমেরিনের আধুনিকরণ, ড্রোন-সহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র দিয়েছে তুরস্ক। প্রায়শই যৌথ মহড়ায় অংশ নেই দুই দেশের সেনা। এবার ভারতে যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের করাচি আগমন মোটেই সহজভাবে দেখছে না বিশেষজ্ঞমহল।

যদিও পাক নৌবাহিনীর দাবি, করাচিতে থাকাকালীন তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। এই সফরের লক্ষ্য দুই নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি ও সামুদ্রিক সহযোগিতা বাড়ানো। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজের আগমন সাধারণ বিষয় নয়। বিশেষ করে ভারতের ভয়ে যখন পাকিস্তান চিন-সহ অন্যান্য বন্ধুদেশের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে। সম্প্রতি তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ইরফান নেজিরগুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই সাক্ষাতে পাকিস্তানের পাশে থাকার আবেদন জানান তিনি।

অন্যদিকে, পহেলগাঁও আবহে গত ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানের করাচির বিমানবন্দরে নামে তুরস্কের সাতটি হারকিউলিস বিমান। অসমর্থিত সূত্র মারফত ওই বিমানগুলির বেশ কিছু ছবিও ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। জল্পনা ছড়ায়, যুদ্ধ আবহে পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে তুরস্ক। যদিও সে তথ্য খারিজ করে তুরস্কের ডিরেক্টরেট অফ কমিউনিকেশনস সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিসইনফর্মেশনের তরফে বলা হয়, পাকিস্তানে মোটেও অস্ত্রবোঝাই বিমান পাঠানো হয়নি। আসলে জ্বালানি সংগ্রহ করতেই পাকিস্তানে নেমেছিল বিমানগুলি। এবার করাচির বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে চিনের শক্তিশালী পিএল-১৫ মিসাইল। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি যে মিসাইল ব্যবহার করে, সেগুলিই পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানে। পাক বায়ুসেনার জেএফ-১৭ ফাইটার জেটের মাধ্যমে যেন এই মিসাইল ছোড়া যায়, তার প্রস্তুতিও চলছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement