Advertisement
Advertisement
QUAD

‘অপরাধীদের রেয়াত করা হবে না’, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে ভারতের পাশে কোয়াড, বার্তা চিনকেও

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখতে একজোট কোয়াড। 

QUAD condemns Pahalgam terror Jaishankar meets US leaders
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 2, 2025 10:43 am
  • Updated:July 2, 2025 11:03 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের নিন্দায় সরব কোয়াড। মঙ্গলবার ওয়াশিং কোয়াড সদস্যভুক্ত চার দেশের (ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান) বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে হাতে হাত রেখে লড়ার বার্তা দিলেন চার সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখতে হাতে হাত মেলালো চার দেশ। 

Advertisement

মঙ্গলবার বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি জারি করেছে কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলি। যেখানে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ-সহ যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানায় আমরা। এই ঘৃণ্য সন্ত্রাসে যুক্ত অপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী ও যারা এই সন্ত্রাসে আর্থিক মদত যুগিয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।’ শুধু তাই নয়, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন কোয়াড নেতারা। এই গোষ্ঠীর তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের সকল সদস্য দেশ যেন পহেলগাঁও সন্ত্রাসে যুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পূর্ণ সহযোগিতা করে।

শুধু তাই নয়, কোয়াড বৈঠক থেকে নাম না করে চিনকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিক নির্দেশ তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনে কোয়াড এই মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে এজেন্ডা নিয়ে কাজ করবে তা হল, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্র নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, এই অঞ্চলের দেশগুলির আর্থিক সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দুর্যোগ বা জরুরি পরিস্থিতিতে একে অপরকে সাহায্য এবং প্রযুক্তিগত ভাবে দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা।

উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আস্ফালন দিনে দিনে আরও গুরুতর আকার নিতে শুরু করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতকে রুখতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন জোট। মাসদুয়েক আগে আফগানিস্তানের সঙ্গেও বৈঠক করে সেদেশে CPEC সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন-পাকিস্তান। এবার বাংলাদেশকেও কাছে টানছে বেজিং। ফলে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে সমুদ্রপথের ‘দখল’ নেওয়া অনেক সহজ হবে তাদের পক্ষে। সেটা হলে সমস্যা বাড়বে আমেরিকারও। সেকথা মাথায় রেখেই এবার ড্রাগনকে রুখতে কোমর বাঁধছে কোয়াডকে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ