সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার ছোট্ট অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ড! সেখানেও নিয়ম করে প্রতি বছর উমা আসেন। তবে চারদিন নয়, দু’দিনের জন্য। তাতে কী! পুজো বলে কথা। আর তাই ছোট্ট এই রাজ্য পুজোর দু’দিন হয়ে ওঠে প্রবাসীদের অন্যতম ঠিকানা। খাওয়া দাওয়া তো রয়েছেই, সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। আর তা দেখতে রোড আইল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে তো বটেই, নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকেও মানুষজন আসেন। পুজোর দু’দিন এই পুজো হয়ে ওঠে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এক মিলনস্থল!
মৈত্রী নামক একটি বাংলা সংগঠনের উদ্যোগে রোড আইল্যান্ডের এই দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। এবারও জোরকদমে চলছে পুজো প্রস্তুতি। এবার পুজো হবে ২৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার এবং রবিবার। ব্যারিংটন কনগ্রেসনাল চার্চে এই পুজো হয়। উদ্যোক্তারা দু’দিন একদিকে বাংলা এবং বাঙালি আবেগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। একই সঙ্গে কলকাতার বারোয়ারি পুজোর স্বাদ এবং পরিচিত পুজোর আন্তরিকতাতেও কোনও অংশেই বাদ দেন না। নিয়ম রীতি মেনে চলে মায়ের আরাধনা। সঙ্গে পুষ্পাঞ্জলি, আরতি, বরণ তো রয়েছেই।
এ তো গেল মায়ের আরাধনার কথা! উদ্যোক্তাদের একজন সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, পুজোর দিনগুলিতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে থাকে গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক এবং শব্দবাজি। যেখানে মৈত্রী পরিবারের ছোটবড় সবার সঙ্গে সঙ্গে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নাচ-গান নাটকের স্কুলগুলি থেকে নানা বয়সের সদস্যরা যোগ দেন। বাংলাভাষীদের পাশাপাশি অন্যান্য ভাষাভাষীর মানুষের জন্যেও উন্মুক্ত থাকে এই পুজোর দ্বার! ফলেও তাঁরাও এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন।
এর সঙ্গে আছে হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণযুগের বাংলা গান। রয়েছে আধুনিক ব্যান্ডের গান। এ যেন নতুন-পুরনোর এক মেলবন্ধন! সৌম্যদীপ বলেন, গত বছর পুজোতে উপস্থিত ছিলেন বলিউড তারকা রোহিত রায় এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মহীতোষ তালুকদার তাপস। তাঁর কথায়, ”আগের বছর বাঙালি-অবাঙালি দেশ-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে উপস্থিত ছিলেন ভারত, আমেরিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইরান, নেপাল, এমনকী পাকিস্তানের নাগরিকরাও। পুজো উদ্যোক্তার আশা, এবারও তার অন্যথা হবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.