Advertisement
Advertisement
PM Narendra Modi

মসনদে বসেই মোদিকে ফোন কারকির, ‘ভারত প্রথম’ নীতিকেই গুরুত্ব ‘নতুন’ নেপালের!

গত শুক্রবার নেপালের অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন কারকি।

PM Narendra Modi, Nepal's interim PM Sushila Karki hold telephonic talks
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:September 18, 2025 1:19 pm
  • Updated:September 18, 2025 2:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালের অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এই প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বললেন সুশীলা কারকি। সূত্রের খবর, নেপালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য মোদি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, কুরসি প্রাপ্তির জন্য সুশীলাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, মসনদে বসার পর বিদেশি নেতা হিসাবে মোদিকেই প্রথম ফোন করলেন কারকি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে  ‘নতুন’ নেপাল যে ভারত-প্রথম নীতিকেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘নেপালের অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকির সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। নেপালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য আমি তাঁকে সমবেদনা জানিয়েছি। একইসঙ্গে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করার জন্য ভারত যে তাঁর পাশে সবসময় রয়েছে, সেকথাও ব্যক্ত করেছি। আগামিকাল নেপালের জাতীয় দিবস। সেই উপলক্ষে অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং সেদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাই।’ 

নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের কমিউনিস্ট সরকারের আমল থেকেই পড়শি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কিছুটা কালি পড়ে। এরপর কেপি শর্মা ওলির আমলেও দু’দেশের সম্পর্ক সেই অর্থে উন্নত হয়নি। দুই নেতাই ছিলেন ‘চিনপন্থী’। কিন্তু বর্তমানে দু’জনেই গদিচ্যুত হয়েছেন। হাল ধরেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা। এই পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারত-প্রথম নীতিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে নতুন ‘নেপাল’।

‘জেন জি’ বিক্ষোভের জেরে ওলি সরকারের পতনের চারদিন পর দেশটির দায়িত্বভার উঠেছে কারকির কাঁধে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদও জানান তিনি। বলেন, “মোদিকে আমি নমস্কার জানাই। আমি তাঁকে সম্মান করি। ভারতের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা এবং স্নেহ রয়েছে। কারণ, তারা সর্বদা নেপালের পাশে থেকেছে।” তিনি আরও বলেন, “নেপালে অনেক আগে থেকেই সমস্যা ছিল। এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন। দেশের উন্নয়নের জন্য এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব আমরা। নেপালের নতুন সূচনা স্থাপনের চেষ্টা করব।” হবু প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তার পর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল জোরকদমে। অবশেষে গত শুক্রবার শপথ নেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নেপালের ৫ হাজার যুব আন্দোলনকারী একটি ভারচুয়াল বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে কারকির নাম প্রস্তাব করে। জানা যায়, তরুণ প্রজন্ম কারকির কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেল তিনি সমর্থনের জন্য কমপক্ষে ১,০০০ লিখিত স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। যদিও তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে সমর্থন করে ২,৫০০-রও বেশি স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement