সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্জেন্টিনা সফরে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বাংলা ক্যাপশন-সহ।
শুক্রবার বিকেলে মোদি বুয়েনস আইরেসের এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। স্থানীয় রীতি মেনে সেখানে অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। আর্জেন্টিনা পৌঁছে মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভারত-আর্জেন্টিনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজুবুত করতে আমার এই বুয়েনস আইরেস সফর। প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে আমি মুখিয়ে রয়েছি।’ উল্লেখ্য, গত ৫৭ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে আর্জেন্টিনায় পা রাখলেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই বুয়েনস আইরেসের রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন। পরে এক্স হ্যান্ডেলে বাংলা ভাষায় লেখেন, ‘বুয়েনোস এয়ারেসে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম। গুরুদেব ১৯২৪ সালে আর্জেন্টিনা সফর করেছিলেন এবং তাঁর এই সফর, বহু মানুষ, বিশেষতঃ শিক্ষাবিদ ও ছাত্রছাত্রীদের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল। ভারতবর্ষে আমরা, আমাদের জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গুরুদেবের অবদানের বিষয়ে গর্বিত। শিক্ষা ও জ্ঞানলাভের বিষয়ে তাঁর গুরুত্ব আরোপও বিশেষ প্রেরণাদায়ক।’
বুয়েনোস এয়ারেসে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম। গুরুদেব ১৯২৪ সালে আর্জেন্টিনা সফর করেছিলেন এবং তাঁর এই সফর, বহু মানুষ, বিশেষত: শিক্ষাবিদ ও ছাত্রছাত্রীদের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল।
ভারতবর্ষে আমরা, আমাদের জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গুরুদেবের অবদানের…
— Narendra Modi (@narendramodi)
উল্লেখ্য, একশো বছরেরও আগে, ১৯২৪ সালে আর্জেন্টিনায় পা রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পেরুতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সে সময়েই বুয়েনস আইরেসে চিকিৎসা করাতে হয়। ঘটনাচক্রে তরুণ কবি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গেও আলাপ হয় রবীন্দ্রনাথের। দীর্ঘ ৫৮ দিন ভিক্টোরিয়ার বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। সেই সময়েই পূরবী কাব্যগ্রন্থটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.