সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিম জন উনের একনায়কতন্ত্রের কথা সর্বজনবিদিত। উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসকের নয়া ‘কীর্তি’র কথা ফাঁস রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিদেশি সিনেমা ও টিভি চ্যানেল দেখার অপরাধে সেদেশে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় সামগ্রিক ভাবেই মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বেড়েছে। যার মধ্যে অন্তর্গত হয়েছে বিদেশি চ্যানেল, সিনেমা দেখার ‘অপরাধ’ও! সেই সঙ্গেই রিপোর্টের দাবি, বাকি বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন দেশটিতে জোর করে শ্রম করানোর পাশাপাশি ব্যক্তিস্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া হয়। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানাচ্ছে, সবদিক থেকেই নাগরিকদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় কিমের দেশে। এমনকী, এও বলা হয়েছে, সারা পৃথিবীতে আর কোথাও এই পরিমাণে নিষেধাজ্ঞা নেই। যত সময় গিয়েছে, ততই প্রযুক্তির দাপটে আরও বেশি করে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা শুরু করেছে কিম প্রশাসন। সেই সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের একটি বড় অংশই দক্ষিণ কোরিয়ার গান বা সিনেমা দেখেন। এই প্রবণতাকে গুঁড়িয়ে দিতেই মৃত্যুদণ্ডের ‘বুলডোজার’ চালাতে চান কিম। পাশাপাশি বিয়ের কনের সাদা রঙের পোশাকেও জারি নিষেধাজ্ঞা! কিমরাজার নানা খেয়ালখুশির কথা এভাবেই চমকে দিচ্ছে বিশ্বকে।
উল্লেখ্য, গত বছরই জানা যায়, বিদেশি নাটক দেখার ‘অপরাধে’ প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছে ৩০ জন কিশোরকে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর শিউরে ওঠে গোটা বিশ্ব। সেবারেও দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, বিদেশি নাটকের ভিডিও দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছিল ওই ৩০ জন কিশোর। একনায়ক কিমের বিচারে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয় তাঁদের। আবারও এও শোনা যায়, গত বছরই বন্যায় মৃত্যুমিছিল রুখতে না পারার ‘অপরাধে’ সর্বাধিনায়ক কিম নির্দেশে হত্যা করা হয় ৩০ জন সরকারি কর্মীকে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.