Advertisement
Advertisement
Donald Trump

সব জেনেও দোহা হামলায় আপত্তি ছিল না ট্রাম্পের, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস!

হামলার পর ইজরায়েলের নিন্দায় সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প।

Netanyahu told Donald Trump about Doha strike in advance, he didn’t say no
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 16, 2025 12:25 pm
  • Updated:September 16, 2025 12:28 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতারের রাজধানী দোহাতে ইজরায়েলের এয়ার স্ট্রাইকের আগাম তথ্য ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। ট্রাম্প প্রকাশ্য বিবৃতিতে সেই হামলার দায় ঝাড়লেও এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর সেই তথ্য। যেখানে দাবি করা হয়েছে, দোহা হামলার অন্তত ৫০ মিনিট আগে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এহেন রিপোর্ট সামনে আসতেই ধরা পড়ে গিয়েছে ট্রাম্পের মিথ্যাচার।

Advertisement

গত মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহাতে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছিল ইজরায়েল। কাতারের আশ্রয়ে থাকা হামাস নেতাদের শেষ করতে এই অভিযান চালানো হয় ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) তরফে। তবে এই হামলার দায় ঝেড়ে ফেলেছিলেন ট্রাম্প। উপরন্তু নেতানিয়াহুর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে তিনি বলেন, “আমি এবিষয়ে কিছু জানতাম না। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তেই সব কিছু হয়েছে।” পাশাপাশি তাঁর দাবি ছিল, দোহা হামলার সতর্কবার্তা আমেরিকার কাছে ছিল না। যখন বিষয়টি তিনি জানতে পারেন সেই সময় কাতারকে সতর্কবার্তা পাঠানোর সময় পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনায় ইজরায়েলের উপর তিনি যে ক্ষুব্ধ সেটাও বুঝিয়ে দেন বিশ্বকে।

তবে সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, হোয়াইট হাউস সেই হামলার যাবতীয় তথ্য আগে থেকে জানত। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলকে এই চালাতে বাধা দেওয়া তো দূর, বরং হামলায় পরোক্ষে মদত দেওয়া হয়। দোহা হামলায় কোনও আপত্তি করেননি ট্রাম্প। ইজরায়েলের আধিকারিকদের দাবি অনুযায়ী, যে সময় হোয়াইট হাউসে এই হামলার বিষয়ে তথ্য পাঠানো হয়, তখন হামলা রুখে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিল ট্রাম্পের কাছে। তিন আধিকারিক জানিয়েছেন, সেদিন সকাল ৮টায় নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ফোন করেন। এবং দোহা হামলার পরিকল্পনা জানান। এর ঠিক ৫০ মিনিট পর প্রথম হামলার খবর পাওয়া যায়। ইজরায়েলের আধিকারিক জানান, “ট্রাম্প নেতানিয়াহুর এই ফোনালাপে সব জানানো হলে ট্রাম্প কোনওরকম আপত্তি করেননি।” দ্বিতীয় আধিকারিক জানান, “হামলা রুখতে চাইলে ট্রাম্প তা করতে পারতেন। কিন্তু উনি সেটা করেননি।”

বরং হামলার পর বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে লেখেন, ‘আজ সকালে আমেরিকার সেনা ট্রাম্প প্রশাসনকে হামাসের উপর ইজরায়েলের আক্রমণের বিষয়টি আবহিত করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইজরায়েল দোহায় হামলা চালিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেহানিয়াহুর। আমি এরকম কোনও নির্দেশ দেইনি। কাতার একটি সার্বভৌম দেশ। আমেরিকার বন্ধু। সেখানে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে। এতে আমেরিকা কিংবা ইজরায়েল কারও লক্ষ্যই পূরণ হয় না। আমরা শান্তির পক্ষে।’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ