Advertisement
Advertisement
Kabul

২০৩০ সালের মধ্যেই জলশূন্য হয়ে যাবে কাবুল! জল সংকট তীব্র গোটা আফগানভূমেই

কাবুলে ভূগর্ভস্থ জল গত এক দশকে নেমে গিয়েছে ৩০ মিটার।

Kabul is running dry and solutions might come too late
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:August 15, 2025 4:22 pm
  • Updated:August 16, 2025 6:33 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর পাঁচ বছর। বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে জলশূন্য হয়ে যাবে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা করা হয়েছে। কাবুলে বাস ৬০ লক্ষ মানুষের। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে সতর্ক আফগান সরকার। চেষ্টা চলছে পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার। কিন্তু আর্থিক সংকটে সেটাও কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। ফলে জল নিয়ে বিবাদও এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠছে।

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পরিস্থিতি এমন জলাধার ভর্তি করা হলে ভরার দ্বিগুণ গতিতে যেন সেটা খালি হয়ে যায়। এদিকে তালিবানের পকেটের যা অবস্থা তাতে জলসংকট কাটিয়ে উঠতে নিকটবর্তী বাঁধ কিংবা নদী থেকে জল আনাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আধুনিক জনপদের মধ্যে এই প্রথম কোনও জনপদ একেবারে জলশূন্য হয়ে ওঠা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি পাঁচ বছরের মধ্যেই এমনটা হতে পারে। ফলে জল নিয়ে বিবাদও এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠছে।

‘মার্সি কর্পস অর্গানাইজেশনে’র এক রিপোর্টে মাস দুয়েক আগেই এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল। কাবুলে ভূগর্ভস্থ জল গত এক দশকে নেমে গিয়েছে ৩০ মিটার। অর্ধেকের বেশি কুয়োয় জলের ছিঁটেফোটাও নেই। অথচ সেখানকার জলের প্রধান উৎসই কিন্তু কুয়ো। ফলে জনজীবনেও এর ছাপ পড়তে শুরু করেছে। এখানেই শেষ নয়। কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলের ৮০ শতাংশই আর ব্যবহারযোগ্য নয়।

যত সময় এগিয়েছে ততই কঠিন হয়েছে পরিস্থিতি। কাবুলে বার্ষিক হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জলের পরিমাণ ৪.৪ কোটি কিউবিক মিটার জল। আফগানিস্তানের জল ও শক্তি মন্ত্রক চাইছে পঞ্জশিরের জল কাবুলে আনতে। যার ফলে একটা বাজেটও নির্ধারিত করা হয়েছে। কিন্তু সেজন্য ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। ফলে সেই অর্থের জোগান কীভাবে আসছে তা একেবারেই বোঝা যাচ্ছে না।

অথচ পরিস্থিতি এমন হওয়ার কথা নয়। কাবুল এমন এক শহর যাকে ঘিরে রেখেছে তুষারাবৃত পর্বতমালা। রয়েছে তিনটি নদী। কখনওই শুষ্ক শহর হিসেবে পরিচিতি ছিল না আফগানিস্তানের রাজধানী শহরের। কিন্তু গত ২৫ বছরে জনসংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে ৬ গুণ! জলের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে বাইরে থেকে জল সরবরাহের ব্যবস্থা হয়তো করা যেত।

কেবল কাবুলই নয়, গোটা আফগানিস্তানেই জল সংকট অতি তীব্র। অন্তত ৭ লক্ষ আফগান জলবায়ুর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর মধ্যে অন্যতম হল খরা। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে তেমনই দাবি। এখানেই শেষ নয়, ৪ কোটিরও বেশি মানুষ পানযোগ্য জলই পান না! আন্তর্জাতিক মহল থেকে বেশ কিছু বাঁধ প্রকল্পে অর্থ ঢালা হয়েছে। কাবুলের ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দিতে পাইপলাইনের বন্দোবস্তও করা হয়। এহেন পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে তালিবান কাবুলের দখল নিলে এই সব খাতে অন্য দেশ থেকে সাহায্য আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই ক্রমশ খারাপ হয় পরিস্থিতি। যা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে চলতি বছরে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ