Advertisement
Advertisement
Gaza

‘পণবন্দিদের মুক্তি ও…’ গাজায় শান্তি ফেরাতে হামাসকে শর্ত দিল ইজরায়েল

কী কী শর্ত দিল ইজরায়েল?

Israeli foreign minister says Gaza war could end if hostages released
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 7, 2025 4:21 pm
  • Updated:September 7, 2025 4:21 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের লাগাতার হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা গাজা। সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও তার ভবিষ্যৎ অজ্ঞাত। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার বিবৃতি এল ইজরায়েলের তরফে। রবিবার ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গিদেয়ো সার জানালেন, গাজায় শান্তি ফিরবে, সেক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে হামাসকে।

Advertisement

২ বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা গাজা যুদ্ধ থামাতে উঠেপড়ে লেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ওয়াশিংটন হামাসের সঙ্গে গভীর আলোচনা চালাচ্ছে। হামাসকে অবশ্যই পণবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। যদি তারা বন্দিদের মুক্তি না দেয় সেক্ষেত্রে ওদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ ও জটিল হয়ে উঠবে।” সংঘর্ষবিরতির লক্ষ্যে আলোচনা যখন জোরকদমে শুরু হয়েছে সেই সময় ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, “ইজরায়েল এই যুদ্ধ শেষ করে গাজা শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত। সেক্ষেত্রে হামাসকে সমস্ত পণবন্দিকে মুক্ত করতে হবে। এবং প্যালেস্টাইনের সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে।” যদিও এই যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে হামাসের তরফে কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে যত সময় যাচ্ছে পণবন্দিদের মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হওয়া হামলার বদলা নিয়ে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন নেতানিয়াহু। তার পর থেকেই লড়াই জারি রয়েছে গাজায়। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত গাজায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। অন্যদিকে হামাসের হাতে এখনও পণবন্দি রয়েছেন বহু মানুষ। ইজরায়েলের অন্দরেই অভিযোগ উঠেছে, পণবন্দিদের উদ্ধারের কোনও চেষ্টা করছেন না নেতানিয়াহু।

এদিকে আমেরিকা ও ইজরায়েল যৌথ উদ্যোগে গাজাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার নয়া পরিকল্পনা করেছে। যে পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রেট’ (Gaza Reconstitution, Economic Acceleration, and Transformation)। এই প্রকল্পে সেখানকার ২০ লক্ষ বাসিন্দাকে অস্থায়ীভাবে সরানো হবে মিশর, কাতারের মতো দেশগুলিতে। যতদিন না গাজাকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে ততদিন দেশছাড়া হয়ে থাকতে হবে বাসিন্দাদের। প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে অন্তত চার বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময়কালে গাজার বাসিন্দাদের বাইরে থাকার ভাড়ার ভর্তুকি, ডিজিটাল টোকেন ও নগদ কিছু অর্থ দেওয়া হবে। এক বছর পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ