Advertisement
Advertisement
Khorramshahr-4

ইরানের শক্তিশেলে আহত ইজরায়েল! অমোঘ ‘খাইবার’ রুখতে নাজেহাল বহু বন্দিত ‘আয়রন ডোম’

কী এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব?

Iran uses Khorramshahr-4 a biggest missile to strike Israel after US bombing

ইরানের খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 22, 2025 6:50 pm
  • Updated:June 22, 2025 6:50 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পালটা ইজরায়েলের মাটিতে মিসাইল বৃষ্টি শুরু করেছে ইরান। প্রাণহানির ঘটনা সামনে না এলেও জানা যাচ্ছে, ইরানের হামলায় বিরাট ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়েছে তেহরানে। আয়রন ডোমকে বোকা বানিয়ে ইজরায়েলের মাটিতে এই হামলা চালানোর মূল কারিগর ইরানের খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র। যা ইরানের সবচেয়ে বড় মিসাইল বলে মনে করা হয়। রবিবার ইজরায়েলের মাটিতে অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র বা খোররামশাহর-৪।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানের হাতে যতগুলি মারণ ক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই খাইবার। ইরানের রিভলুশনারি গার্ডের অধীনে থাকা এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২ হাজার কিলোমিটার। দেড় টন অর্থাৎ ১৫০০ কেজি ওয়ারহেড নিয়ে হামলা চালাতে পারে শত্রু শিবিরে। হাইপারসনিক প্রযুক্তির মিসাইল হওয়ায় শব্দের চেয়ে ৫ গুণ গতিতে এটি ছুটে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, নিক্ষেপের পর এর দিক পরিবর্তন সম্ভব। ফলে শত্রু শিবিরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এই ক্ষেপণাস্ত্র রোখা বেশ কঠিন। যার জেরেই অমোঘ খাইবারকে রুখতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে বহু বন্দিত ইজরায়েলের আয়রন ডোমকে।

শুধু তাই নয় জানা যায়, এই মিসাইলে রয়েছে অত্যাধুনিক এমআরভি প্রযুক্তি। যার জেরে একটি মিসাইলে একাধিক ওয়ারহেড ব্যবহার করা যায় এবং একসঙ্গে অনেকগুলি নিশানায় আঘাত হানা যায়। অত্যাধুনিক এই মিসাইলের নামকরণ করা হয়েছে ইরানের শহর খোররামশাহরের নামে। ৮০-র দশকে ইরান ও ইরাক যুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই অঞ্চল। পাশাপাশি এই মিসাইলকে খাইবার বলার কারণ, সপ্তম শতাব্দীতে মুসলিমরা সৌদি আরবে একটি ইহুদি ঘাঁটি দখল করে। পরে যার নামকরণ করা হয় খাইবার। সেই নামেই ডাকা হয় মারণ এই মিসাইলকে।

উল্লেখ্য, ইরানে মার্কিন হামলার পর ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ শুরু করেছে তেহরান। রবিবাসরীয় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে হামলা। যা রুখতে আয়রন ডোম সক্রিয় করেছে ইজরায়েল। যদিও ইরানের মিসাইল রুখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। জানা গিয়েছে, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। এদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরান তাদের খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের ডিমোনা পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যবহার করতে পারে। তা যদি হয় তবে এই যুদ্ধ কোন পর্যায়ে পৌঁছবে তা কল্পনা করাও কঠিন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ