Advertisement
Advertisement
USA

‘মার্কিন আধিপত্যবাদের বদল চাই’, আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর আগে পোস্ট ভারতীয়র

মৃত্যুর আগের পোস্টে 'খাবারে বিষ মেশানো'র অভিযোগ করেন নিজামুদ্দিন।

Indian origin techie died in USA called to change American mentality
Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 19, 2025 4:42 pm
  • Updated:September 19, 2025 4:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩০ বছর বয়সি তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের রুমমেটকে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। মৃত্যুর আগে মার্কিন আধিপত্যবাদী মানসিকতা বদলের পক্ষে সওয়াল করতেন ওই ভারতীয়। 

Advertisement

মার্কিন মুলুকের মসনদে দ্বিতীয়বার বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর শীর্ষপদে পৌঁছানোর নেপথ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ ক্যাম্পেন। মসনদে বসার পরেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই উত্তেজনার আবহেই এবার ক্যালিফোর্নিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী।

নিজামুদ্দিনের পরিবারের মতে, ক্যালিফোর্নিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত ৩০ বছর বয়সী এই ভারতীয় প্রযুক্তিবিদের প্রাক্তন বস, সহকর্মী এবং রুমমেটরা তাঁকে নিয়মিত বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ করত। পাশাপাশি তাঁর ‘খাবারে বিষ মেশানো’র অভিযোগও এনেছে পরিবার।

পরিবারের তরফে মৃত্যুর কিছুদিন আগেই নিজামুদ্দিনের লেখা একটি লিঙ্কডইন পোস্টের কথা বলা হয়েছে। সেই পোস্টে নিজামুদ্দিন লেখেন, তিনি বর্ণবৈষম্য, জাতিগত হয়রানি, নির্যাতন, বেতন-জালিয়াতি, অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার মত ঘটনার শিকার হয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি নিজের উপরে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। পোস্টে নিজামুদ্দিন দাবি করেন, তাঁকে নিজের বাড়ি থেকেও বের করে দেওয়া হয়। ‘মাগা’ ক্যাম্পেন পরবর্তী সময়ে আমেরিকায় অভিবাসী বিতাড়নের জোয়ারের মাঝেই নিজামুদ্দিনের এই পোস্ট বিতর্কের ঝড় তুলেছে। নিজের পোস্টে ‘মার্কিন আধিপত্যবাদী মানসিকতার’ অবসানের ডাক দেন নিহত প্রযুক্তিকর্মী।

এই পোস্টের কথা তুলে ধরে নিজামুদ্দিনের পরিবার বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। নিজামুদ্দিনের বাবা জানিয়েছেন, সান্তা ক্লারার একটি হাসপাতালে নিজামুদ্দিনের দেহ রাখা হয়েছে। এই ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে তিনি জানতে পেরেছেন ছেলের মৃত্যুর ঘটনা। নিজামুদ্দিনের দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য চেয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যান নিজামুদ্দিন। ফ্লোরিডার কলেজে এমএস ডিগ্রি পেয়ে সেখানেই একটি সংস্থায় কাজ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement