সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোরের মায়ের বড় গলা! যে দেশের মাটি সন্ত্রাসবাদের স্বর্গরাজ্য, ধর্মীয় মৌলবাদের আঁতুড়ঘর, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গিয়ে দাবি করলেন, ধর্মীয় মৌলবাদ নাকি গোটা বিশ্বের শত্রু। ভারতের মাটিতে নাকি ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদে’র চাষ হচ্ছে। পালটা পহেলগাঁও থেকে লাদেনের উদাহরণ টেনে পাক সন্ত্রাসের ইতিহাস মনে করাল দিল্লিও।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুক্রবার বলেন, “গোটা বিশ্বে ঘৃণা ভাষণের জায়গা থাকার কথা নয়। কোথাও কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে বা ধর্মের বিরুদ্ধে হিংসার কোনও জায়গা নেই। ভারতের হিন্দুত্ব সন্ত্রাসের মতো আদর্শের কোনও জায়গা থাকা উচিত নয়।” আসলে ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণের পর তৎকালীন কেন্দ্রের শাসকদল কংগ্রেসের একাধিক নেতা ওই হামলাকে হিন্দু সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দেন। পরে একাধিকবার কংগ্রেস নেতারা ওই হিন্দু সন্ত্রাসবাদ তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। সেটাকেই এবার রাষ্ট্রসংঘে হাতিয়ার করলে শত্রুদেশ পাকিস্তান।
অবশ্য পাক প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচারের কড়া জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লিও। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি পেটাল গেহলট ‘জবাব দেওয়ার অধিকার’ প্রয়োগ করে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিছু অদ্ভুত নাটক করেছেন। আসলে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মহান হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। এই পাকিস্তানই পহেলগাঁও হামলার পর টিআরএফকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল। ওদের কোনও লজ্জা নেই। বছরের পর বছর ধরে এই দেশেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল ওসামা বিন লাদেনকে।” পেটাল গেহলটের প্রশ্ন, “যে দেশ সন্ত্রাসবাদের চাষ করে, সন্ত্রাসবাদীদের রপ্তানি করে, সেই দেশ হিন্দু সন্ত্রাসের কথা বলে কোন মুখে?”
হাস্যকরভাবে শাহবাজ শরিফ অপারেশন সিঁদুরকে নিজেদের জয় হিসাবে দেখাচ্ছেন। তাঁর দাবি, ভারত-পাক সংঘাতে বিরাট জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ভারতের ৭টি ফাইটার জেট নাকি ধ্বংস করেছে পাক বাহিনী। পালটা পেটাল গেহলট ধ্বংস হওয়া পাক এয়ারবেসের ছবি তুলে ধরে দেখিয়ে বলেন, “এই ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানঘাঁটি যদি আপনাদের সাফল্যের নজির হয়, তাহলে আনন্দ করুন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.