Advertisement
Advertisement
Ethiopia

মৃতদেহ খুবলে খাচ্ছে হায়না, গৃহযুদ্ধে ইথিওপিয়া যেন নরক!

আশঙ্কিত রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব থেকে WHO প্রধান।

Hyenas scavenge on corpses as Tigray forces retreat in Ethiopia civil war। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:October 20, 2022 2:57 pm
  • Updated:October 20, 2022 2:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ইথিওপিয়া (Ehtiopia)। দু’বছর ধরে সেদেশের উত্তরে ঐতিহাসিক তাইগ্রে অঞ্চলে চলছে রক্তক্ষয়ী লড়াই। পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে ভয়াবহ। বিবিসি জানাচ্ছে, সেখানকার গ্রাম, শহর সর্বত্র যত্রতত্র পড়ে রয়েছে বিমান হানায় নিহত মানুষের মৃতদেহ। পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে হায়নার দল। তারা ছিঁড়ে খাচ্ছে লাশের স্তূপ। বর্ষীয়ান পুরুষ থেকে তরুণীরাও যুদ্ধে যোগ দিয়েছে। এমনকী শিশুদেরও উর্দি পরিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে রণাঙ্গনে। যা দেখে আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO প্রধানও।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে তাইগ্রেতে ইথিওপিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আকস্মিক হামলা হয়। তারপর দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় এই প্রদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেখানে আইনের শাসন ফেরাতে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। ফলে শুরু হয় ভয়ানক গৃহযুদ্ধ।

[আরও পড়ুন: গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষরক্ষা, ৩ দিন পর গ্রেপ্তার অভিনেত্রী বৈশালীর প্রতিবেশী যুবক]

একসময় পর্যটকদের কাছে চূড়ান্ত আকর্ষণীয় জায়গা ছিল এই তাইগ্রে অঞ্চল। রয়েছে বহু ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কিন্তু আজ তাইগ্রের পরিচয় একটাই। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল। একপক্ষে ইথিওপিয়া ও ইরিট্রিয়া। অন্যপক্ষে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট। দেখতে দেখতে ১৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে, এখানে কোনও টেলিফোন বা ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। ভেঙে পড়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থাও। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে গত ৫০ দিনে। চলছে একেবারে লাগাতার সংঘর্ষ। গৃহহারা অন্তত ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ। খোলা মাঠ বা গাছের তলায়, ঝোপের আড়ালে দিনরাত কাটছে তাঁদের। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল বহু মানবাধিকার সংগঠন। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে তাদেরও পিছু হঠতে হয়েছে। কেননা একটানা হয়ে চলেছে বোমাবর্ষণ।

এই পরিস্থিতিতে হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Edros Adhanom Ghebreyesus) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজে ইথিওপিয়ার বাসিন্দা। তাইগ্রে অঞ্চল তাঁরই ‘হোম টাউন’। তিনি জানিয়েছেন, ওখানে গণহত্যা আটকানোর সম্ভাবনা ক্রমেই কমছে। তাঁর কথায়, ”সারা পৃথিবীতে এমন পরিস্থিতি আর কোথাও হয়নি, যেখানে দু’বছর ধরে ৬০ লক্ষ মানুষকে বিপণ্ণতার মধ্যে দিন গুজরান করতে হচ্ছে।” এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গুতেরেসও বলেছেন, ইথিওপিয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে বড়সড় নাশকতার ছক? বারাকপুর থেকে ১০০ কেজি বিস্ফোরকের মশলা উদ্ধার]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement