সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসি শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গিয়েছে। সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে ভারতীয় নার্সের পরিবার। ১৬ জুলাই তাঁর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল, ১৫ জুলাই জানা যায় আপাতত কার্যকর হচ্ছে না মৃত্যুদণ্ড। অথচ সোমবারও মনে হচ্ছিল বোধহয় আটকানো যাবে না তাঁর এই চরম শাস্তি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী ঘটল রাতারাতি? আসলে এর নেপথ্যে রয়েছেন দুই দেশের মুসলিম ধর্মগুরুরা। তাঁদের আলোচনাতেই জট কেটেছে। এমনই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
সোমবারই জানা গিয়েছিল, নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার। ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তিনি। এরপরই ইয়েমেনের ধর্মগুরু শেখ উমর হাফিজ কথা বলেন নিমিশা যেখানে কাজ করতেন সেই পরিবারের প্রধান তালাল আবদুল মেহদির সঙ্গে। সেই আলোচনাতেই শেষ মুহূর্তে নিমিশার ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শেখ উমরের সহকারী হুসেন সাকাফি এই কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনের এক হাসপাতালে কাজ করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী ও কন্যা ভারতে ফিরে এলেও নিমিশা সেখানে থেকে যান। এক ব্যক্তিকে হত্যার অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক। অবশেষে সাময়িক ভাবে হলেও আটকানো গিয়েছে তাঁর ফাঁসি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.