Advertisement
Advertisement
Yemen

ইজরায়েলের হামলার বদলা! ইয়েমেনে রাষ্ট্রসংঘের ১১ কর্মীকে পণবন্দি করল হাউথিরা

বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি রাষ্ট্রসংঘের।

Houthi rebels raid UN offices in Yemen, detain at least 11 employees

ইয়েমেনে হাউথি বিদ্রোহী।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 1, 2025 4:25 pm
  • Updated:September 1, 2025 4:25 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়েমেনে ইজরায়েলের হামলায় পালটা এবার রাষ্ট্রসংঘের দপ্তরে হামলা চালাল বিদ্রোহী হাউথি গোষ্ঠী। ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও বন্দরনগরী হুদেইদাতে রাষ্ট্রসংঘের একাধিক দপ্তরে হামলা চালিয়ে ১১ জন কর্মীকে বন্দি করা হয়েছে। সম্প্রতি হাউথি নিয়ন্ত্রিত সানা এলাকায় হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। সেই অভিযানে হাউথি প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই এবার পালটা প্রতিশোধের পথে হাঁটল হাউথি।

Advertisement

হাউথি গোষ্ঠীর অভিযোগ, রাষ্ট্রসংঘের যে সব কর্মীরা সেদিনের হামলার সময় ইজরায়েলকে সাহায্য করেছিল, শুধুমাত্র তাঁদেরই আটক করা হয়েছে। তবে দপ্তরে হামলার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের সহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিশুদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দপ্তরে জোর করে প্রবেশ করে হাউথি বিদ্রোহীরা। দপ্তরে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। ইয়েমেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত হ্যান্স গ্রান্ডবার্গ বলেন, যা ঘটেছে তা ভয়াবহ। আমরা চাই আমাদের যে সব কর্মীদের বন্দি করা হয়েছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে হাউথি নিয়ন্ত্রণাধীন সানায় বিমান হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল সেনা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় সানার হাউথি প্রধানমন্ত্রী আল-রাহাবির। এছাড়াও সেদিন মৃত্যু হয় একাধিক মন্ত্রীর। সশস্ত্র গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়, গত এক বছরে সরকারের কর্মদক্ষতা পর্যালোচনায় একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাহাবি এবং অন্য মন্ত্রীরা। তখনই বিমান থেকে বোমাবর্ষণ শুরু হয়। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে সানায় হাউথি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন আহমেদ আল রাহাবি।

তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ফুঁসে ওঠে হাউথি। তাদের অভিযোগ, ইয়েমেনে কর্মরত রাষ্ট্রসংঘের কর্মীরা ইজরায়েল ও আমেরিকার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করে এবং তাদের কাছে গোপন তথ্য সরবরাহ করে। গত সপ্তাহে হামলার নেপথ্যেও রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের যোগ রয়েছে বলে দাবি হাউথিদের। সেই আক্রোশেই এবার সরাসরি জাতি সংঘে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও ইয়েমেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত হ্যান্স গ্রান্ডবার্গ বলেন, রাষ্ট্রসংঘ বিশ্বের সকল মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে। এবং সে কাজে কোনও পক্ষপাত থাকে না। ফলে রাষ্ট্রসংঘের অফিসে হামলা ও কর্মীদের পণবন্দি করা অত্যন্ত নিন্দনীয় পদক্ষেপ। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের বন্দি করার ঘটনা ইয়েমেনে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও হাউথি গোষ্ঠী রাষ্ট্রসংঘের ২৩ জনকে বন্দি করেছিল। যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ