Advertisement
Advertisement
Volcano

৮ মাসে ৩১ বার লাভা-বমি আগ্নেয়গিরির! ‘যেন সমুদ্রের গর্জন’, বলছে হাওয়াইবাসী

আগ্নেয়গিরির গতিপ্রকৃতি বিশদে বুঝতে নিরাপদ দূরত্বে তিনদিক থেকে তিনটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

Hawaii's volcano errupts 31 time since last eight months, scientists keep eyes through high resolution camera
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 23, 2025 8:06 pm
  • Updated:August 23, 2025 8:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনও সম্ভব! প্রকৃতির লীলাখেলায় সবই ঘটতে পারে। ‘বাস্তব কল্পনার চেয়েও বিস্ময়কর’ – সেই প্রবাদবাক্যটা যেন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। আমেরিকার হাওয়াইয়ে তেমনই স্বরূপ দেখাচ্ছে প্রকৃতি। তবে এ রূপ যেমন ভয়ংকর, তেমনই এতটাই আকর্ষণীয় যে ভয়ে চোখ বন্ধ হয়ে যেতে যেতেও মনে হয়, ‘কী রূপ দেখিলাম! জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না।’ এই মুহূর্তে গলগল করে অনর্গল লাভা-বমি করে চলেছে হাওয়াইয়ের কিলাউই আগ্নেয়গিরি। সেই ভয়ংকর রূপ দেখে আশপাশের লোকজন ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছেন। তার মাঝেও চেটেপুটে উপভোগ করে নিচ্ছেন প্রকৃতির এই রুদ্রমূর্তি। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৮ মাসে মোট ৩১ বার জেগে উঠেছে কিলাউই আগ্নেয়গিরি।

Advertisement

বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের এই কিলাউই। সেই গত ডিসেম্বরে ঘুম থেকে যে জেগে উঠেছে, সক্রিয়তা থামছে না কিছুতেই। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, জ্বালামুখ থেকে যখন গলিত লাভা প্রায় ৩০ মিটার পরিধিজুড়ে বেরিয়ে আসছে, তখন মনে হচ্ছে যেন সমুদ্রের ঢেউগুলো গর্জন করে তটভূমিতে আছড়ে পড়ছে। মাটি ফুঁড়ে প্রায় ৩০০ মিটার উঁচুতে উঠে কখনও আকাশ ছুঁয়ে ফেলছে সেই লাভাস্রোত। কেউ কেউ বলছেন, বিমান ওড়ার সময় ইঞ্জিনের যে কানফাটানো শব্দ হয়, তেমন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন না। আর সেই শব্দেই হুঁশ ফিরছে, বিপদ তো সামনেই!

তবে কিলাউইয়ের এই তাণ্ডব রূপে শুধু ভয় পেলে তো চলবে না। এবিষয়ে অবশ্য হাওয়াই ভলক্যানো ন্যাশনাল পার্ক অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ করেছে। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের চারপাশে নিরাপদ দূরত্বে তিনদিক থেকে তিনটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যাতে কিলাউইয়ের প্রতি মুহূর্তের সক্রিয়তা ধরা পড়ে। ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা পার্কের স্বেচ্ছাসেবক জেনিস ওয়ের কথায়, ”প্রত্যেকবার লাভা উদগীরণের সময়ে আমার মনে হচ্ছে, অসাধারণ একটা শো দেখছি আমি। ভয় নয়, তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে!”

হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরিগুলি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞানী কেন হন জানাচ্ছেন, অগ্ন্যুৎপাতের জেরে গ্যাসভর্তি হাওয়া যেভাবে আকাশের দিকে উঠছে, তা একটা রঙিন বেলুন মতো লাগছে। কখনও কখনও মনে হচ্ছে, একটা পাইপলাইন যেন উপরের দিকে উঠে গিয়েছে। ডিসেম্বর মাস থেকে কিলাউইয়ের এই লাভ উদগীরণ দেখে বিজ্ঞানীরা আরও বিশদে তা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হয়তো এর মাঝেই হাওয়াইয়ের এই আগ্নেয়গিরির নতুন কোনও বিশেষত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement