সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। গণবিদ্রোহে উত্তাল হয়েছিল নেপাল। মূলত ছাত্র-যুবরা তথা জেন জেডই ছিল এই আন্দোলনের পুরোভাগে। আর তরুণ তুর্কিদের ওই আন্দোলনে ভেঙে যায় সরকার। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুশীলা কার্কি। কিন্তু এই আন্দোলনে আলাদা করে নজর কেড়েছে একটি পতাকা। বিখ্যাত সিংহ দরবার প্রাসাদের দরজায় পর্যন্ত সেই পতাকাই ঝুলতে দেখা গিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই একটি খুলি, যার মাথায় হলুদ খড়ের টুপি, এমনই এক মাঙ্গা পতাকা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কী এই পতাকা? কেনই বা তা দেখা গিয়েছে নেপালের আন্দোলনে? মজার কথা হল, এর আগে ইন্দোনেশিয়াতেও যুব আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল ওই পতাকা। আদতে যা জাপানি মাঙ্গা ‘ওয়ান পিস’ থেকে অনুপ্রাণিত।
১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয় জাপানি মাঙ্গা ‘ওয়ান পিস’। দস্যু মাঙ্কি ডি লুফি ও তার মাথার টুপি তখন থেকেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে ও তার দলবলের অভিযানই যেন পরোক্ষে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নতুন প্রজন্মকে। ওই খুলি যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাধীনতা, বন্ধুত্ব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। সরকারের সঙ্গে যুঝতে গিয়ে যেন এই সব আবেগের উপরই ভরসা করেছিল নেপালের জেন জেড।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটিও। তাই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কাঠমান্ডু সরকার। শুরু হয় আন্দোলন। জনকণ্ঠ রোধে তরুণ তুর্কিদের যে আন্দোলন শুরু হয়, তা ক্রমে হিংসাত্মক চেহারা নেয়। পুলিশ, এমনকী সেনার প্রতিরোধেও কাজ হয়নি। সোশাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার প্রভাব যে এত ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি কেপি শর্মা ওলি। ‘জেন জেড’ বিক্ষোভে শেষপর্যন্ত সরকারের পতন ঘটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.