সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেও দু’জনের ভাব ছিল গলায় গলায়। একে অপরকে চোখে হারাচ্ছেন এমন দশা। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের প্রায় মুখ দেখাদেখি নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রধান উপদেষ্টার পদও ছেড়েছেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক। তবে তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ট্রাম্পকে এবার ‘সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধী’ বলতেও দ্বিধা করল না মাস্কের সংস্থার এআই চ্যাটবট ‘গ্রক’। উলটো দিকে ‘গ্রক’-কেও কড়া নজরদারিতে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন মাস্ক। রিপাবলিকান প্রার্থীর হয়ে অর্থ ঢেলেছেন জলের মতো। দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা হওয়ার পরে টেসলা প্রধানকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদেও বসিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক বর্তমানে আদায়-কাঁচকলায়। তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল মাস্কের সংস্থা ‘গ্রক’। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ওয়াশিংটনের ‘সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মাস্কের এআই চ্যাটবটে। আমেরিকায় – অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে এরকমই তথ্য দিচ্ছে ‘গ্রক’।
মূলত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়েই ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। এই বিলের মূল উদ্দেশ্য হল কর ও সরকারের ব্যয় সংকোচ। প্রথম থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করে এসেছেন মাস্ক। মার্কিন সেনেটে এই বিল নিয়ে আলোচনা হতেই সুর চড়ান টেসলা কর্তা। তিনি জানান, এই বিল পাশ হলে মার্কিন রাজনীতিতে এক নতুন দল খুলবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই বিল পাশ হওয়ার পর দিনই ‘আমেরিকা পার্টি’ তৈরি হবে। যাতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকাবনের বাইরে দেশের মানুষ বিকল্প দলের মাধ্যমে তাঁদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পান।’ কিন্তু তাঁর হুঁশিয়ারির পরেই বিতর্কিত এই বিলে সই করে তা আইনে পরিণত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পালটা দেয় মাস্ক। কথা মতো নিজের নতুন দল ঘোষণা করেন টেসলা কর্তা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.