সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চামড়ার রং-এ কি যায় আসে? প্রশ্নটা নেহাতই অবান্তর। বর্ণবৈষম্য আর নেই বলে যতই স্বস্তি পেতে চান, এ দুনিয়া সেটি হতে দিচ্ছে না। সাদা চামড়ার হলে আপনি এই গ্রহের উন্নত জীব। আর গায়ের রং একটু খয়েরি হল, তো আপনি গেলেন মশাই। মানুষ হওয়ার অধিকার একটু একটু করে হারায় গায়ের রং-এর সৌজন্যে। সে আপনি যতই বিদগ্ধ, গুণী মানুষ হোন না কেন।
বারো বছরের ছোট্ট এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোরীও তার শিকার হল অদ্ভুতভাবে। ২০১৭ সালের ওয়ার্ল্ড স্পেলিং কনটেস্ট বা বিশ্ব বানান প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা পায় ১২ বছরের অনন্যা বিনয়। তাঁকে ইন্টারভিউ-এর জন্য ডাকে নামজাদা টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন। এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হল। অনন্যার দিক থেকে উত্তরও আসছিল ঠিকঠাক। হঠাৎই সঞ্চালক ও সঞ্চালিকার ইচ্ছে হল একটু অন্য সুরে গাওয়ার। এরপর তাঁরা যে প্রশ্ন তুললেন, তাতে স্পষ্ট খোঁচা ছিল বর্ণবৈষম্যের। হয়তো তাঁরা ভেবেছিলেন, অনন্যা যেহেতু ভারতীয় বংশোদ্ভূত, তাই তার জ্ঞানও সংস্কৃত শব্দের পরিসরের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। শুধুমাত্র সংস্কৃত লিখতে-পড়তেই জানবে সে। অন্য বানান বা ভাষা বুঝি তার আয়ত্তের বাইরে। এই ভাবনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তালভঙ্গ করলেন দুই সঞ্চালক। শুধু সংস্কৃত নয়, মন্তব্য উড়ে এল অনন্যার শিকড় নিয়েও। সিএনএনের এই অনুষ্ঠানের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। অবশ্য তাতে খুব বেশি বিচলিত হতে দেখা যায়নি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে।
Are you serious ? Sanskrit? That’s some straight racism there.
Wtf is with these people?
— Crystal Johnson (@Crystal1Johnson)
CNN anchor: “I heard its root is in Sanskrit – which is what you’re probably used to using…”
-WTF.— Imraan Siddiqi (@imraansiddiqi)
. should be embarrassed: Anchor assumes American spelling bee champ must be “used to using” Sanskrit. Do Italian-Americans use Latin?
— Indira Lakshmanan (@Indira_L)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.