Advertisement
Advertisement
Covid

শিশুদের পোশাক থেকেও ছড়াচ্ছে করোনা! সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ চিনের

শিশুদের পোশাকের পার্সেলের সংস্পর্শে এলেই করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

China suspects kids garments deliveries spreading Covid 19 | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 12, 2021 8:10 pm
  • Updated:November 12, 2021 10:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে চিনে (China)। একাধিক শহর ও প্রদেশে লকডাউন (Lockdown) জারি হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে শুধুমাত্র চাওয়াং ও হাইদিয়ানে ১২ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একাধিক আবাসন সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহু স্কুল-অফিস। এই পরিস্থিতিতে চিনা প্রশাসনের নয়া সন্দেহ, শিশুদের জামাকাপড় থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। মূলত অনলাইন শপিংকেই ভিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এভাবে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপও নিয়েছে চিনা প্রশাসন।  

Advertisement

বছর শেষের আগেভাগে চিনা শপিংমলগুলি ও অনলাইন কেনাকাটার অ্যাপগুলি জামাকাপড়-সহ অন্যান্য সামগ্রীর উপর ব্যাপক ছাড় দিতে শুরু করেছে। ফলে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে। চিনা প্রশাসনের আশঙ্কা, জামা কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র যে পার্সেলে করে আসছে, তা থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সম্প্রতিই চিনের হুবেই প্রদেশে শিশুদের জামাকাপড় তৈরি করেন এমন তিনজন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। এই ঘটনার পর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১২০০ মাইল দূরেও কেউ যদি ওই সংস্থার পার্সেলের সংস্পর্শে আসেন, তবে তাঁরাও যেন অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেন। দক্ষিণ-পূর্ব চিনের গুয়াংশি প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Travel in COVID-19 time

[আরও পড়ুন: তৃতীয়বারের জন্য মসনদে জিনপিং! কর্তৃত্ব নিষ্কণ্টক করতে বদলে ফেলা হচ্ছে ইতিহাস]

একই কারণে হুবেই প্রদেশের একটি ই-কমার্স কোম্পানির ৩০০ পার্সেল পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। যদিও তাতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। এছাড়াও সংক্রমণ রুখতে শিংজি, সেনজে শহরে অনলাইন শপিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ফ্রোজেন খাবার বা মাছ, মাংস থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে আসা পার্সেলের বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। দেশের মধ্যেও যে কোনও সামগ্রীর প্যাকেজিং ও আনপ্যাকেজিং-এর সময় অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। 

[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ভারত-রাশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন, ভারতে আসার সম্ভাবনা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের]

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক চিনা নাগরিক অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন, বাড়িতে অনলাইন মাধ্যমে কোনও সামগ্রী আনালেই তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। চিনের স্বাস্থ্য কমিশন যে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখে, পার্সেল নিলেই সেই অ্যাপে ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের স্টেটাস সবুজ থেকে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলেই তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।       

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement