সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি আসলে জুলুমের হাতিয়ার! মার্কিন প্রেসিডন্টকে এভাবেই তোপ দাগল চিন। সোমবার সকালে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ব্রিকসের সঙ্গে যেসমস্ত দেশ জড়িয়ে থাকবে তাদের উপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত কর চাপানো হবে। এই পদক্ষেপকে তুলোধোনা করে পালটা বিবৃতি দিয়েছে বেজিং।
ব্রাজিলে চলছে ব্রিকস সামিট। সেখানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনে ভাষণও দিয়েছেন তিনি। তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ব্রিকসের সদস্যদের উপর আছড়ে পড়ে ট্রাম্পের শুল্কবাণ। নিজস্ব সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে তিনি লেখেন, ‘ব্রিকসের আমেরিকাবিরোধী নীতির সঙ্গে যে দেশ যুক্ত থাকবে তাদের উপর আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে। কোনওভাবেই এই নীতি পালটানো হবে না, কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। সকলকে অনেক ধন্যবাদ।’ তবে আমেরিকাবিরোধী নীতি বলতে ঠিক কী, সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি ট্রাম্পের পোস্টে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন আচরণকে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছে চিন। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “এইভাবে শুল্ক চাপানোটা কারোওর পক্ষেই ভালো নয়। প্রথম থেকেই এই অবস্থানে অনড় থেকেছে চিন।” মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “যেভাবে শুল্ককেকে জুলুম চালানোর অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করছে চিন।” তবে ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের পালটা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা এখনই ভাবছে না ব্রিকস। নিংয়ের কথায়, ব্রিকস কোনওরকম সংঘাত চায় না।
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই ব্রিকসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল ভারত। তবে সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার সঙ্গেও ভারতের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে চলতি সপ্তাহে বাণিজ্যচুক্তি হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। তার জেরে ভারতীয় পণ্যের উপর মার্কিন শুল্ক কিছুটা কমতে পারে বলে আশাবাদী ছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে থাকাকালীনই যেভাবে এই মঞ্চকে নিশানা করলেন ট্রাম্প, তাতে প্রশ্ন উঠছে বাণিজ্যচুক্তি এবং শুল্কছাড়ের বিষয়গুলি নিয়ে। চিনের মতে, যেভাবে বিশ্বজুড়ে একের পর এক দেশের উপর জোর করে শুল্ক চাপাচ্ছেন ট্রাম্প তা আসলে জুলুমের সমান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.