সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবারই চিনের উপর শুল্ক নিয়ে সুর নরম করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকী সমস্যা মেটাতে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথাও বলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিল বেজিং। শুল্কসংঘাত এড়াতে শীঘ্রই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছে দু’দেশের প্রেসিডেন্ট। শনিবার এমনটাই ঘোষণা করেছে চিন।
শুক্রবার দু’দেশের বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চিনা প্রতিনিধিদলের প্রধান তথা চিনা উপপ্রধানমন্ত্রী হি লিফেং মার্কিন বাণিজ্যসচিব স্কট বেসেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ভিডিও গোটা কলের মাধ্যমে গোটা বৈঠকটি হয়েছে বলে খবর। সেই বৈঠকের পরই চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া একটি বার্তা প্রচার করে। জানায়, দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে স্পষ্ট এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবারই শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঢোঁক গিলে বলেন, “শুল্কের পরিমাণ যত বেশিই হোক না কেন, তা দীর্ঘ মেয়াদি কোনও সমস্যার সামাধান করে না। আমি চিনের উপর শুল্ক আরোপ করতে চাইনি। কিন্তু বেজিং আমাকে সেই পদক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে।” এরপরই তিনি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকের কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, চিনের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ফলে আগামী মাসের প্রথমদিন থেকে মোট শুল্কের পরিমাণ পৌঁছাবে ১৪০ শতাংশে। তবে এই তারিখ এগিয়েও আসতে পারে। হোয়াইট হাউস আগেই জানিয়েছে, যদি চিন আমেরিকার উপরে কোনও ‘আক্রমণাত্মক’ পদক্ষেপ করতে চায়, তাহলে অক্টোবর থেকেই নয়া শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।
কিন্তু কেন হঠাৎ চিনের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প? একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিরল খনিজ রপ্তানির উপর চিন নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাওয়াতেই এমন পদক্ষেপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প দাবি করেন, চিনের ওই সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বেই প্রভাব পড়ত। একইসঙ্গে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চিনের ‘দাদাগিরি’ খর্ব করতেই আমেরিকা এই পদক্ষেপ করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.