Advertisement
Advertisement

ব্রিটেনে নতুন যুগের সূচনা, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সম্পূর্ণ ব্রেক্সিট

ছেদ পড়ল প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সম্পর্কে। 

Brexit done, UK leaves the European Union starting new era
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 1, 2020 10:51 am
  • Updated:February 1, 2020 10:51 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেদ পড়ল প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সম্পর্কে। ৩১ জানুয়ারি রাত ১১ টায় ‘ব্রেক্সিট’ কার্যকরী করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বেরিয়ে গেল ব্রিটেন। এবার ইউরোপজুড়ে আর অবাধ গতিবিধির পথ রইল না।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার  সন্ধেবেলা ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় ব্রেক্সিট বিল। ৬৮৩ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৬২১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৪১টি। ২১ জন সদস্য ভোট দেননি।  ১৯৭৩ সালে তদানীন্তন ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’-তে যোগ দিয়েছিল ব্রিটেন। ১৯৯২ সালে সেটিরই পরিবর্তিত রূপ হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর ফলে ইউরোপজুড়ে মুক্ত বাণিজ্য, সফরের এক নয় যুগের সূচনা হয়। এবার তাতেই ইতি টানল ব্রেক্সিট।   

এদিকে, ব্রেক্সিট কার্যকরী হওয়ার পর ইউনাইটেড কিংডম বা ইউকে-তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্রেক্সিটের প্রতিবাদে EU সমর্থক স্কটল্যান্ডে মোমবাতি মিছিল বের হয়। এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি দেখা যায় লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে। সেখানে আনন্দে মেতে ওঠেন বহু মানুষ। ‘লং লিভ দ্য কুইন’ স্লোগানে মেতে ওঠে আকাশ বাতাস। লন্ডনের পাব ও বারগুলি ব্রেক্সিটপন্থীদের ভিড়ে উপচে পড়ে।   

গতকাল, ব্রেক্সিট কার্যকরী হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, “অনেকের জন্যই আজ নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। এমন একটা মুহূর্ত যা অনেকেই ভেবেছিলেন কোনওদিন আসবে না। এটি প্রকৃত জাতীয় পরিবর্তনের মুহূর্ত। আমি জানি অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ বা অনিশ্চয়তা রয়েছে। বা অনেকেই রাজনৈতিক ডামাডোল নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ সকলকে আশ্বস্ত করে এই দেশকে আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

২০১৬ সালের ২৩ জুন গণভোট দিয়ে ব্রিটেন ঠিক করেছিল, তার EU থেকে বেরিয়ে আসবে। তার পরে সাড়ে তিন বছর কেটে গিয়েছে। যে ডেভিড ক্যামেরনের জমানায় গণভোট হয়েছিল, তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরে হলে পানি পাননি উত্তরসূরি টেরেসা মে। অসংখ্য বার ব্রেক্সিট বিল নিয়ে আলোচনায় ও বিতর্ক হয়েছে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। শেষ পর্যন্ত, তবে বরিস জনসন ১০, ডাউনিং স্ট্রিট দখল করে অবশেষে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছেন।

[আরও পড়ুন: মিলছে না মাস্ক, করোনা ঠেকাতে মুখে অন্তর্বাস-লেবুর খোসা পরছেন চিনারা]    

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement