সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। সিন্ধু ও তার উপনদীর জলে ডুবেছে পাঞ্জাব প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয়, ৪০ বছর পর বন্যার কোপে কবলে পড়েছে পাকিস্তানের লাহোর। তবে পাঞ্জাবের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
ভয়াবহ এই বন্যার জন্য ভারতকে দায়ী করছে পাকিস্তানের একটা অংশ। দাবি করা হচ্ছে, সিন্ধুর জল ছাড়ার জেরে পরিস্থিতি এতটা গুরুতর আকার নিয়েছে। জানা গিয়েছে, বন্যার জেরে জলের তলায় পাঞ্জাবের ২ হাজার ২০০টি গ্রাম। এখনও পর্যন্ত মোট ৭ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। রবিবার পাকিস্তানের এক মন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “পাঞ্জাবের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বন্যা। প্রায় ২০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই প্রথমবার শতদ্রু, চন্দ্রভাগা এবং ইরাবতী – এই তিনটি নদীরই জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।” বন্যার হাত থেকে রেহাই পায়নি শিখদের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র কর্তারপুর। সম্প্রতি জলমগ্ন কর্তারপুর সাহেবের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়েছে। লাহোরের ডেপুটি কমিশনার সৈয়দ মুসা রাজা বলেন, “৩৮ বছর পর এই প্রথম বন্যায় ডুবল লাহোর। ১৯৮৮ সালে এখানে শেষবার বন্য হয়েছিল।”
এর আগে পাকিস্তানের বন্যার জন্য সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন পাক মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি অভিযোগ করেন, “ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জল অস্ত্র ব্যবহার করছে। যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ পাকিস্তানে শুরু হয়েছে, তার মোকাবিলা করা সম্ভব শুধুমাত্র প্রতিবেশীর সহযোগিতায়। ভারতের উচিত ছিল, বিষয়টিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করে পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রে এর মোকাবিলা করা। কিন্তু তা না করে তারা হঠাৎ ভয়ংকরভাবে জল ছাড়ছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে জল অস্ত্র প্রয়োগ করছে।” যদিও সূত্রের খবর, প্রতিবার জল ছাড়ার আগে পাকিস্তানকে আগাম বার্তা পাঠানো হয়েছে ভারতের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.