সেন বাড়ির মা দুর্গা ও কুমারী পুজোর ফাইল চিত্র।
পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বাড়ির পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির betvisa888.com৷ আজ রইল কালনার সেনবাড়ির দুর্গাপুজোর কথা।
রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: সমুদ্র ও নদী মিলিয়ে মোট সাত রকম জলেই কালনার সেনবাড়ির মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়। গত ২৫০ বছর ধরে দুর্গা আরাধনার এটিই সেনবাড়ির বিশেষ রীতি। তাই পরিবারের সদস্যরা দেশে বা বিদেশে যেখানেই গিয়েছেন সেখানকার সাগর, মহাসাগর, নদীর জল পাত্রবন্দি করে নিয়ে এসেছেন কালনার বাড়িতে।
তবে পালবাড়ির বিশেষ রীতিনীতির শেষ এখানেই নয়। জানা গিয়েছে, এই পরিবারের মা দুর্গার কাঠামো একই থাকে। প্রতিবছর শুধু প্রতিমা তৈরিতে নতুন মাটি আসে। চির পুরাতন কাঠামোয় মা দুর্গা মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন। বিসর্জনের কয়েকদিন পর জল থেকে সেই কাঠামো তুলে আনা হয়। পরের বছর রথযাত্রায় ফের কাঠামোতে পড়ে মাটির প্রলেপ। প্রতিমা নির্মাণেই নয়, ভোগেও আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। সেন বাড়ির পুজোতে অন্নভোগের রেওয়াজ নেই। মায়ের নৈবেদ্যে থাকে ঘিয়ের লুচি, বোঁদে, মিহিদানা, পান্তুয়া, গজা, মাখা সন্দেশ, কমলাভোগ-সহ মোট ১০ রকমের মিষ্টি ও রকমারি ফল। ইত্যাদি সহযোগে ঠাকুরকে ভোগ দেওয়া হয়।
সেন পরিবারের বর্তমান বংশধর চিকিৎসক অভিজিৎ সেন জানান, এক সময় বৈদিক চিকিৎসায় তাঁদের পরিবার জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। বিখ্যাত জবাকুসুম তেল এই পরিবারেরই এক পূর্বপুরুষের আবিষ্কার। সেনরা কালনা শহরের আদি বাসিন্দা। বিশাল দালান ঘর, রাজকীয় আমেজ, সমস্তটা এখনও রয়েছে। তবে পুজোর সময় ছাড়া গোটা বাড়ি কার্যত ফাঁকাই থাকে। কাজের সূত্রে রাজ্য, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে রয়েছেন। পুজো এলেই সব ফেলে সবাই ফেরে কালনার বাড়িতে। দুর্গা মা পাঁচদিনের জন্য গোটা পরিবারকেই মিলিয়ে দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.