Advertisement
Advertisement

ঘটের বদলে মূর্তি গড়ে দুর্গা আরাধনায় মাতে মহিষাদলের রায়বাড়ি

নবমীতে রায়বাড়িতে পাত পেড়ে খেতেন ২০ হাজার মানুষ৷

Know the story behind Mahishadal Rai Bari Durga Puja

 ছবিতে মহিষাদলের রায় বাড়ির মা দুর্গার ফাইল চিত্র, ছবি : রঞ্জন মাইতি।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:October 5, 2018 5:14 pm
  • Updated:October 7, 2018 2:46 pm  

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বাড়ির পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির betvisa888.com৷ আজ রইল মহিষাদলের বাসুলিয়ার রায় পরিবারের দুর্গাপুজোর কথা।

Advertisement

চঞ্চল প্রধান,  হলদিয়া:   ৪৪২ বছরে পড়ল মহিষাদলের রায়বাড়ির দুর্গাপুজো। রায়বাড়িতে আগে দুর্গাপুজো হত ঘটে।  ১৯৭৪ সালে সেই রীতি ভাঙেন ধীরেন্দ্রনাথ রায়। রায়বাড়ির বর্তমান পুজো কর্তা দেবদুলাল রায়ের দাদু ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ রায়। তিনিই প্রথম রায়বাড়ির মা দুর্গাকে মৃন্ময়ী রূপ দেন। মহিষাদলের বাসুলিয়ার রায়বাড়ির পুজোর ইতিহাস এলাকাবাসীর কাছেও বেশ গর্বের। আর খোদ রায়বাড়ির সদস্যদের কাছে দুর্গাপুজোর অর্থ গোটা পরিবারের মহামিলন ও জমিয়ে আড্ডা।

মহিষাদলের রায়বাড়ির কর্তা দেবদুলালবাবু জানালেন, ‘তমলুকের বঁইচবাড়ির রাজা নারায়ণ রায়বাহাদুরের বংশধর আমরা৷ জমিদারি রক্ষার জন্য পূর্বপুরুষরা হলদিয়ার মহিষাদলে চলে আসেন৷ সেই সময় থেকে চলছে পারিবারিক এই দুর্গাপুজো৷ এলাকার প্রাচীন পুজো হিসাবে পরিচিত আমাদের বাড়ির পুজো। শুরুতে রায় পরিবারের দুর্গা আরাধনায় ঘট পুজো হত। দীর্ঘ কয়েকশো বছরের এমন প্রচলিত রীতির-ভঙ্গ ঘটল ১৯৭৪-এ। সেই বছর প্রথম মাটির প্রতিমা গড়ে শুরু হয় দুর্গাপুজো৷’

বাসুলিয়ার রায় বাড়ির সেই পুজোতে এখনও আয়োজনের কোনও ত্রুটি থাকে না। পার্শ্ববর্তী তেরপেখ্যা,  কেশবপুর,  বাঁকা, রঙ্গিবসান,  গোপালপুর,  কমলপুর, গাজিপুর-সহ বেশকিছু গ্রামের মানুষ অতিথি-অভ্যাগতদের তালিকায় থাকেন৷ এখন দুর্গাপুজোর আয়োজনে রায়বাড়িতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীতে৷ অষ্টমীতে রীতি মেনে কলা,  আখ,  কুমড়ো ও লেবু বলি দেওয়া হয়৷ নবমীর কুমারী পুজো ঘিরে এলাকার মানুষের ঢল নামে৷ রাত হলেও পুজোর কদিন বাহারি আলোয় সেজে ওঠে রায়বাড়ির ঠাকুরদালান। এই বনেদি বাড়ির পুজোয় ভোগের আয়োজন অবশ্যই বিশেষ ব্যাপার৷ আগে ২০ হাজার মানুষ ভোগ খেতেন৷ এখন দেড় থেকে দু’হাজার মানুষের আয়োজন থাকে৷ নবমীতে এই অন্নভোগ বিতরণ করা হয়৷ পরিবারের  আত্মীয়-স্বজন যাঁরা দূরে থাকেন,  পুজোর টানে সকলেই বাড়িতে ফেরেন৷ গোটা রায় পরিবার ও স্থানীয়রা সক্কলে মিলে পুজোর কটা দিন বেশ জমিয়ে আড্ডায় মাতেন৷ সারা বছরে এই কটা দিনই তাঁদের কাছে বিশেষ পাওনার৷ যত দিন গড়াচ্ছে রায়বাড়ির পুজো ঘিরে উৎসাহ উত্তেজনার পারদ ততই চড়ছে৷

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement