Advertisement
Advertisement
ফ্রি বাজার

‘ফ্রি বাজার’ খুলে দুঃস্থদের পোশাক বিলি, পুজোর আগে কল্পতরু শিক্ষক

মহৎ কাজ করে নজির গড়েছেন কাঁথির বাসিন্দা ওই শিক্ষক।

A teacher who lived in Kanthi distributed free clothes among poor people
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 30, 2019 2:39 pm
  • Updated:September 30, 2019 2:40 pm   

রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: এবারের পুজোয় ‘ফ্রি বাজার’ নজর কেড়েছে কাঁথিবাসীর। পুজোর আগেই দুঃস্থদের হাতে পোশাক তুলে দিতে ‘ফ্রি বাজার’ খুলেছেন কাঁথির ছত্রধরা গ্রামের বাসিন্দা প্রাথমিক শিক্ষক শ্যামল জানা। ছত্রধরা গ্রামে নিজের বাড়িতে এই ‘ফ্রি বাজার’ খুলেছেন শ্যামলবাবু। সেইসঙ্গে আঠিলাগড়ি এলাকাতেও এই ফ্রি বাজারের একটি শাখা খুলেছেন তিনি। আর এই ফ্রি বাজারে পাওয়া যাবে জামা, প্যান্ট, ফ্রক, চুড়িদার থেকে সব ধরনের পোশাক। যা মিলবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: থিমের দাপটে ফিকে দেবীর সাবেকি গয়নার জৌলুস, কাজের বরাত কমছে যোগীপাড়ায়]

নিজের পছন্দ এবং মাপ অনুযায়ী বেছে নিলেই হল। মূলত এটি দুঃস্থ মানুষের জন্যেই তৈরি হয়েছে। তবে শ্যামলবাবুর এই ‘ফ্রি বাজার’ শুধু পুজোর সময় নয়, পুজোর পরেও নিয়ম করে সপ্তাহে একবার চলবে। শুধু কাঁথি নয়, সুদূর পুরুলিয়া এবং হুগলির আরামবাগ থেকেও লোকজন এসে পুরনো জামাকাপড় দিয়ে গিয়েছেন। এই ‘ফ্রি বাজারে’ আসেন দিনমজুরি করা, রাস্তার পাশে বস্তিতে দিন কাটানো মানুষ।

Free-Bazar

কাঁথির কুলাইপদিমা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের সহ­-শিক্ষক শ্যামলবাবু বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ফ্রি বাজারের প্রচার হওয়ায় আমরা দারুণ সাড়া পেয়েছি। বহু মানুষ আমাদের পুরনো জামাকাপড় দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এবং করবেন বলেও জানিয়েছেন। অনেকেই বাড়তি পোশাক, খেলনা বা অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে দেন। কাউকে দেওয়ার মতো লোক পান না। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানালে বা ফোন করলে আমরা গিয়ে সেই পুরনো জামাকাপড় নিয়ে আসব। অনেকে এখানে এসে দিয়েও যেতে পারেন। এরপর আমরা তা দুঃস্থ মানুষের জন্য রেখে দেব।”

[আরও পড়ুন: বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গ, মেলবোর্নে দুর্গার আবাহনে মাতোয়ারা প্রবাসীরা]

স্থানীয় ধর্মদাসবাড় গ্রামের মৌমিতা গিরি বলেন, “অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় সবসময় কিনে দিতে পারি না। কিন্তু শ্যামলবাবুর ফ্রি বাজার আমাদের হাতে পাওয়া একটুকরো চাঁদের মতো।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ