সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুস্তিগির সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে আরও একজন অভিযুক্তকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। এই নিয়ে মোট ন’জনকে গ্রেপ্তার করা হল। আর গ্রেপ্তারির পরই এই অভিযুক্ত স্বীকার করে নিয়েছে, গত ৪ মে যারা সাগর রানা ও তাঁর বন্ধুদের মারধর করেছিল, তাদের মধ্যে সেও ছিল। একইসঙ্গে অভিযুক্তের বিস্ফোরক দাবি, অলিম্পিক পদকজয়ী সুশীল কুমারের (Sushil Kumar) নির্দেশেই রানাকে লাঠি পেটা করা হয়েছিল।
অপরাধ দমন শাখা জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তের নাম বিন্দর, যার আসল নাম বিজেন্দর। যে নিজেও পেশায় কুস্তিগির। নিজের অপরাধ সে স্বীকারও করে নিয়েছে। কিন্তু তার দাবি, সুশীলই বলেছিলেন সাগর রানা ও তাঁর বন্ধুদের মারধর করতে। ইতিমধ্যেই ৪ মে সাগর রানাকে খুনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা তদন্তকারীদের হাতে এসেও পৌঁছেছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামের পার্কিং এলাকায় সুশীল ও তাঁর দলবল সাগর-সহ তাঁর বন্ধুদের লাঠি পেটা করছেন। সুশীলের হাতেও মোটা লাঠি। যা সুশীলের বিরুদ্ধে বড়সড় প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে। আর তারই মধ্যে পুলিশের জালে ধরা পড়া বিন্দলের এমন বিস্ফোরক অভিযোগের জেরে আরও কোণঠাসা সুশীল।
তদন্তকারীদের জেরায় সুশীল প্রথমে সহযোগিতা না করলেও পরে নাকি স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি রানাকে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁকে যাতে ভবিষ্যতে কেউ দুর্বল না ভাবে, সেটা বোঝাতেই রানাকে মারধর। কিন্তু তাঁকে খুন করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। অর্থাৎ তিনি যে গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সে নিয়ে আর কোনও সন্দেহ রইল না।
Sushil Kumar’s video in which he could be seen thrashing others
This is crucial evidence against him— Atulkrishan (@atulkrishan007)
এদিকে, সংবাদমাধ্যমে যেভাবে রানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুশীলকে কাঠগড়ায় তুলছেন, তার বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলায় আরজি জানানো হয়, সুশীলকে নিয়ে মিডিয়ার রং চড়িয়ে খবর করার উপর লাগাম টানা হোক। কিন্তু শুক্রবার সেই আরজি খারিজ করে দেয় আদালত। হাই কোর্ট বলে, “একজনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা যায় না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.