সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতীয় ক্রিকেট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসনিক কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রামচন্দ্র গুহ। কিন্তু ইস্তফাপত্রে কমিটির প্রধান বিনোদ রাইয়ের উদ্দেশে একের পর এক বিতর্কিত প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। যেখানে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি থেকে শুরু করে সুনীল গাভাসকরের কথা তুলে ধরেন। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও কী করে মহেন্দ্র সিং ধোনি বোর্ডের ‘এ’ গ্রেড চুক্তির অন্তর্গত হলেন? এছাড়া স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বোর্ড। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের একইসঙ্গে ধারাভাষ্যকার ও শিখর ধাওয়ানের প্লেয়ার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রামচন্দ্র। এমনকী সফল হওয়া সত্ত্বেও কেন ভারতীয় কোচের পদ থেকে অনিল কুম্বলেকে সরিয়ে দেওয়া হবে সেই নিয়েও নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
নিজের ইস্তফাপত্রে ঠিক কী কী প্রশ্ন তুলেছেন রামচন্দ্র গুহ? জানা গিয়েছে, বিনোদ রাইকে লেখা চিঠিতে মোট সাতটি ব্যাপারে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন তিনি। সেগুলি হল:
১. এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত ইস্যু রয়েছে। যেমন- রাহুল দ্রাবিড় ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হলেও তিনি আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলের প্রতি বেশি মনসংযোগ করছেন।
Conflict of interest issues related to working for Indian team and IPL not addressed, in resignation letter to Vinod Rai.
— Press Trust of India (@PTI_News)
২. বিসিসিআই টিভি ধারাভাষ্যকার হিসেবে সুনীল গাভাসকরকে নিযুক্ত করেছে, অথচ গাভাসকর একটি বেসরকারি সংস্থার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
Sunil Gavaskar’s role as commentator and his player- management agency managing questioned by in his letter.
— Press Trust of India (@PTI_News)
৩. প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও তিনি বিসিসিআইয়ের ‘এ’ গ্রেড চুক্তিতে অন্তর্গত রয়েছেন।
Conflict of interest issues related to working for Indian team and IPL not addressed, in resignation letter to Vinod Rai.
— Press Trust of India (@PTI_News)
৪. গত এক বছরে কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সত্ত্বেও নতুন কোচ নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নিচ্ছে বোর্ড।
৫. ঘরোয়া ক্রিকেটারদের তুলনায় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা মাইনে বেশি পান। এক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের অবহেলা করা হচ্ছে।
৬. নিয়মানুযায়ী যেসমস্ত বিসিসিআই কর্তারা অযোগ্য, তাঁরা এখনও সভায় যোগ দিচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
৭. প্রশাসনিক কমিটিতে জাভাগল শ্রীনাথের অন্তর্ভুক্তিতে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ কমিটিতে একজন প্রাক্তন ক্রিকেটারের থাকার কথা।
হঠাৎ করেই রামচন্দ্র গুহের এই ইস্তফাপত্র ইতিমধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তার মধ্যে মহেন্দ্র সিং ধোনি, অনিল কুম্বলের প্রসঙ্গে মুখ খুলে বিসিসিআইয়ের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়েছেন। বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি কোনও বোর্ড কর্তা। এমনকী প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাইয়ের বক্তব্যও জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামিদিনে এই ঘটনা বেশ বড়সড় প্রভাব ফেলবে বোর্ড রাজনীতিতে। এমনকী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলের খেলায় পড়তে পারে এর প্রভাব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.