সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফরোয়ার্ড না ফলোয়ার্ড! অর্থাৎ ফলিং ফরোয়ার্ড। নেইমারকে নিয়ে আমুলের বিজ্ঞাপনটি বেশ মনে ধরেছে একযোগে আর্জেন্টিনা-জার্মানি-স্পেন-পর্তুগাল সমর্থকদের। হওয়ারই কথা। একে এই বিশ্বকাপ তারকাবিহীন। অন্যান্য বড় দলগুলি সব একে একে বিদায় নিয়েছে। মেসি, রোনাল্ডোরা কাগজে-কলমে যত সাড়াই ফেলুন না কেন, বাস্তবে প্রায় প্রত্যেকেই নিষ্প্রভ হয়ে বিদায় নিয়েছেন। যে যতই ব্যক্তিগত কীর্তি গড়ুন, কেউই তাঁর দলকে রেসে টিকিয়ে রাখতে পারেননি, এটাই সত্যি। পড়ে আছেন একা ব্রাজিলের নেইমার। মেসি-রোনাল্ডোদের সঙ্গে এখনই একসঙ্গে যাঁর নাম উচ্চারিত হয়। তো এবার বিশ্বকাপের গোড়া থেকেই আলোচনার শীর্ষে নেইমার। যত না তাঁর স্কিল ও ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের জন্য, তার থেকে বেশি মাঠে তাঁর গড়াগড়ির জন্যই। তা জানেন কতটা সময় এই গড়াগড়ি দিয়ে কাটিয়েছেন ব্রাজিলের পোস্টার বয়?
[ ব্রাজিলেই মন বাঙালির, নেইমার-ট্যাটুতে মজেছেন তরুণ-তরুণীরা ]
সময়ের হিসেবে অঙ্কটা কম নয়। সেই গ্রুপ পর্যায়ে প্রথম ম্যাচ থেকেই এর শুরু। দেখা যাচ্ছে মাঠে হার্ড ট্যাকলের মুখে পড়লেই মাঠে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন নেইমার আর পড়ে যাচ্ছেন মাঠে। তার কতটা সত্যি আর কতটা জল মেশানো, তা নিয়ে তুমুল তর্ক। ক্রমে সাব্যস্ত হয়ে যায় প্লে-অ্যাক্টিংয়ে নেইমার দক্ষ। যত না লাগছে তার থেকে বেশি অভিনয় করছেন। কখনও আবার কার্ড বা ফ্রি-কিক আদায় করছেন। এক একটা সময় রীতিমতো সংশয়েও পড়ে যাচ্ছেন রেফারিরা। যার জেরে দেখা গেল, আগের ম্যাচে নেইমারের গোড়ালিতে বিপক্ষের খেলোয়াড় বুট দিয়ে মাড়িয়ে দিলেও রেফারি কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো কটাক্ষের ছড়াছড়ি। এত ট্রোল আর কোনও ফুটবল তারকাকে নিয়ে হয়েছে কিনা সন্দেহ। কটাক্ষের ধুমে নেইমারের ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সও প্রায় চোখে পড়ছে না অনেক ফুটবলপ্রেমীদের। অনেকটাই চাপা পড়ে গিয়েছে তাঁর স্কিল, বরং সামনে চলে এসেছে এই গড়াগড়ির সমালোচনা। তা গড়াগড়ি খেয়ে কতটা সময় কাটালেন ব্রাজিলের তারকা? একটি সুইস টিভি চ্যানেল এ নিয়ে বেশ মাথা ঘামিয়েছে। ম্যাচ ধরে ধরে অঙ্ক কষে তারা দেখেছে, এ পর্যন্ত মাঠে শুয়ে বা যন্ত্রণায় কাতরে প্রায় চোদ্দ মিনিট কাটিয়েছেন নেইমার। সময়টা কম নয়, বিশেষত ফুটবলের ক্ষেত্রে।
[ কার দখলে যাবে বিশ্বকাপের সোনার বল, মেসি-রোনাল্ডোর পর কে এগিয়ে দৌড়ে? ]
প্লে-অ্যাক্টিং নিয়ে খোদ নেইমারকে বিশ্বের অন্যান্য ফুটবল তারকাদেরও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকী বক্রোক্তি করেছেন মারাদোনাও। তবে নেইমার বলছেন, তাঁর যদি কষ্ট হয় তাহলে তিনি কী করতে পারেন? আপাতত বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে নেইমার কী করেন, সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্ব। তবে যে কোনও ইস্যুতে নেইমারের পাশেই রয়েছেন কোচ তিতে। ম্যাচ জেতানো ঘোড়াকে কোনওভাবেই বিব্রত করতে নারাজ বুদ্ধিমান কোচ। এদিকে নয়া তথ্য হাতে আসার পর আবার ট্রোলের বন্যা নেটদুনিয়ায়।
😳
— B/R Football (@brfootball)
How far can Neymar carry Brazil?
— Match of the Day (@BBCMOTD)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.