ভারত- ৫০ ওভারে ২৬৫/৭ (মিতালি রাজ ১০৯, কৃষ্ণামূর্তি ৭০, লেই কাসপেরেক ৩/৪৫)
নিউজিল্যান্ড- ২৫.৩ ওভারে ৭৯ (অ্যামি স্যাটার্থওয়েট ২৬, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড ৫/১৫)
ভারত জয়ী ১৮৬ রানে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম চার ম্যাচে জয়। এরপরই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আচমকা ছন্দপতন। হার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের শেষ চারের ছাড়পত্র পাবেন তো মিতালি রাজরা? প্রশ্ন উঠতেও শুরু হয়েছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য সমস্ত আশা-আশঙ্কার মেঘকে দূরে ঠেলে সেমিফাইনালে উঠল মিতালি রাজ অ্যান্ড কোং। শনিবার নিউজিল্যান্ডকে তাঁরা হারাল ১৮৬ রানে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পর চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে পৌঁছলেন ঝুলনরা।
We have our fourth semi-finalist! India join England, South Africa and Australia with a 186 run win over New Zealand!
— ICC (@ICC)
জিততেই হত এই পরিস্থিতিতে এদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন মিতালিরা। অর্থাৎ যে জিতবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার পর শেষ চারে পৌঁছবে তাঁরাই। আর এদিনের মরণবাঁচন ম্যাচে সামনে থেকেই নেতৃ্ত্ব দিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। করলেন দুর্দান্ত শতরান। শনিবার টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান কিউয়ি অধিনায়ক। কিন্তু আগের ম্যাচের মতোই ফের একবার ব্যর্থ পুনম রাউত এবং স্মৃতি মন্দনার ওপেনিং জুটি। প্রথমে পুনম (৪) ও পরে স্মৃতি (১৩) ফিরে যান অল্প রানে। এরপরই পরিত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভাব ঘটে ভারত অধিনায়কের। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন হরমনপ্রীত কৌর। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ১৩২ রান। ১২৩ বলে ১০৯ রান করেন মিতালি। হরমনপ্রীত করেন ৯০ বলে ৬০ রান। দু’জনে মিলে ইনিংস গড়ে তুললেও রানের গতি অনেক কম ছিল। তবে শেষদিকে নেমে মাত্র ৪৫ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন কৃষ্ণামূর্তি। মারেন ৭টি চার ও ২টি ছয়। তাঁর এই ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যেই ভারতের রান দাঁড়ায় ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৬৫ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক মুহূর্তের জন্যও পালটা লড়াই করতে পারেননি নিউজিল্যান্ড। ভারতীয় বোলারদের সামনে তাসের ঘরের মতো গুটিয়ে যায় তাঁরা। রাজেশ্বরী গায়কোয়াড, দীপ্তি শর্মাদের দাপটে মাত্র ৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। গায়কোয়াড পান পাঁচটি উইকেট। দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে সর্বোচ্চ রান অ্যামি স্যাটার্থওয়েটের। তিনি করেন মাত্র ২৬ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেটি মার্টিন ও অ্যামেলিয়া কের-ই দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছন। মূলত স্পিনার দাপটেই ধস নামে কিউয়িদের ব্যাটিং লাইন আপে। এই কাঙ্খিত জয়ের দৌলতেই বিশ্বকাপের শেষ চারে চলে গেলেন ঝুলনরা। ২০১০ সালের পর এই প্রথম কোনও আইসিসি ইভেন্টের সেমিফাইনালের টিকিট পেল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.