ইস্টবেঙ্গল: ১ (ক্লেটন)
জামশেদপুর এফসি: ২ (হ্যারি, ঋত্বিক)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে ঘরের মাঠে জয়ের ইতিহাসই রচনা করতে চেয়েছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। কিন্তু এবারও অধরা স্বপ্ন। এবারও একরাশ হতাশা নিয়েই যুবভারতী থেকে ফিরতে হল সমর্থকদের। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও শুক্রবার পরাস্ত লাল-হলুদ ব্রিগেড। জঘন্য ডিফেন্সই ফের ডোবাল পদ্মাপারের ক্লাবকে।
লিগ তালিকায় ইস্টবেঙ্গলেরও (East Bengal) নিচে জামশেদপুর। গত সাক্ষাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই সে দলকে মাটি ধরিয়েছিলেন ক্লেটনরা। তাছাড়া ঘরের মাঠের শেষ ম্যাচেও বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলতে সফল হয় স্টিফেনের দল। তাই এদিন জয় নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসীই দেখাচ্ছিল লাল-লহুদকে। শুরুটাও মন্দ করেনি হোম ফেভারিটরা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দেন ফুটবলাররা। ১২ মিনিটেই গোলমুখ খুলতে সফল ক্লেটন। তেকাঠি লক্ষ্য করে বল ঠেলে দেন নাওরেম। কিন্তু তা আটকে দেন জামশেদপুরের যাদব। তবে ফিরতি বলে ফের শট নেন ক্লেটন। প্রথমে অফসাইড মনে হলেও সেটি গোল বলেই গণ্য হয়।
ends in defeat.
— East Bengal FC (@eastbengal_fc)
যদিও এগিয়ে গিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল হজম করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমে জামশেদপুরকে সমতায় ফেরান অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি। আরও একবার প্রকাশ্যে এসে যায় ইস্টবেঙ্গলের কঙ্কালসার ডিফেন্স। হ্যারির শটকে রুখতে ব্যর্থ হন ডিফেন্ডাররা। রক্ষণের ভুলেই শেষ লগ্নে আরও একটি গোল হজম করতে হয় স্টিফেনের দলকে।
১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তালিকার ৯ নম্বরে লাল-হলুদ। ম্যাচের আগে হাসিমুখে স্টিফেন বলেছিলেন, “দলে তাগিদের কোনও অভাব নেই। আমারও চাকরি বাঁচানোর তাগিদ আছে।” কিন্তু লাগাতার হারের জেরে তাঁর চাকরি আদৌ বাঁচবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আরওই যেন জোড়ালো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.