Advertisement
Advertisement

Breaking News

Indian Women's Football Team

প্রথমবার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ডকে হারিয়ে নজিরের অপেক্ষায় ভারতের মেয়েরা

৫ জুলাই থাইল্যান্ড ম্যাচ ভারতের কাছে কার্যত 'ফাইনাল'।

Indian women's Football team looks to set precedent by defeating Bangladesh, Thailand in first Asian Cup main event

ছবি এআইএফএফ

Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:July 3, 2025 2:42 pm
  • Updated:July 3, 2025 2:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশ যোগ্যতা অর্জন করতেই সোশাল মিডিয়ায় ধীরে ধীরে হলেও প্রশ্নটি আলোচনায় চলে আসছে। ভারতীয় মহিলা দল কি পারবে? আসলে বুধবার প্রথমবারের মতো মহিলাদের এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ সি’র ম্যাচে মায়ানমারকে ২-১ গোলে হারানোর পর তাদের নজর ছিল বাহরিন বনাম তুর্কমেনিস্তানের ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচ ড্র হতেই এশিয়ান কাপের মূলপর্বে পৌঁছায় বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশ-সহ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়া চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া। ১২টি দল যোগ্যতা অর্জন করবে এশিয়ান কাপে। এরমধ্যে শীর্ষ ৮ দেশ অংশ নেবে অলিম্পিকে। শীর্ষ ৬ দল খেলবে বিশ্বকাপ। তবে অলিম্পিক কিংবা বিশ্বকাপ দূরের ব্যাপার। প্রশ্ন হল, ভারতের মেয়েরা কি আদৌ আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন?

মহিলাদের এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ণয় পর্বে জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন ‘ব্লু টাইগ্রেস’রা। প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়াকে ১৩-০ গোলে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে তিমুর লেস্তেকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতের মেয়েরা। বুধবার ইরাককে হারাল ৫-০ গোলে হারায় ভারতের মেয়েরা। অর্থাৎ, তিন ম্যাচে ভারতের মেয়েরা ২২টি গোল করেছেন। এতগুলো গোল করার পরেও কিন্তু সঙ্গীতা বাফফোর, মনীষা কল্যাণদের এশিয়ান কাপে মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত হয়নি। এক্ষেত্রে ভারতের সামনে কাঁটা থাইল্যান্ড।

প্রথম দু’টি ম্যাচে গোল পার্থক্যের দিক দিয়ে ভারতের ব্যবধান বেশি থাকলেও, মঙ্গোলিয়াকে ১১-০ গোলে হারায় থাইল্যান্ড। এরফলে তাদেরও গোলসংখ্যা ২২। এর আগে তিমুর লেস্তেকে ৪-০ এবং ইরাককে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল থাইল্যান্ড। সুতরাং, এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যেতে গেলে ভারতকে সোজাসাপ্টা থাইল্যান্ডকে পরাজিত করতে হবে। অন্যদিকে, নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলা অমীমাংসিত থাকলে টাইব্রেকারে জিতে কোয়ালিফাই করারও সুযোগ থাকছে। অর্থাৎ, ৫ জুলাই জি গ্রুপে থাইল্যান্ড ম্যাচ ভারতের কাছে কার্যত ‘ফাইনাল’।

মঙ্গোলিয়াকে ১৩ গোলে হারালেও ভারত কিছুটা হলেও অনুতপ্ত। কারণ কম করে আরও চারটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে তারা। তাছাড়াও অনেকেই মঙ্গোলিয়ার ম্যাচে মনীষা কল্যাণকে বেঞ্চে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বিশ্বাস, ওই ম্যাচে মনীষা খেললে আরও অনেক বেশি ব্যবধানে জিততে পারত ভারত। আর সেটা হলে থাইল্যান্ড ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে থাকত ব্লু টাইগ্রেসরা।

অন্যদিকে, থাইল্যান্ড মহিলা দলের বর্তমান ফিফা র‍্যাঙ্কিং ৪৬। ভারতের ৭০। সুতরাং থাইল্যান্ড ম্যাচ যে অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে, সেটা সহজেই অনুমেয়। তবে, ‘নীল বাঘিনী’দের কাছে সুযোগ থাকবে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস পুনর্লিখন করে ভারতীয় মহিলা ফুটবলকে আবারও মহাদেশীয় স্পটলাইটে নিয়ে আসার। ভারতের নজর থাকবে গ্রেস ডাংমেই, মনীষা কল্যাণ, সন্ধ্যা রঙ্গনাথন, আশালতা দেবীদের দিকে। ২০০৩ সালে শেষবার যোগ্যতার ভিত্তিতে মহিলা এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ২০২২ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে এশিয়ান কাপ খেলে। এখন দেখার, থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে পারেন কিনা ভারতীয় মেয়েরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement