ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: আলভিটো ডি’ কুনহাকে নিয়ে এবার সংঘাত শুরু কোয়েস আর ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মধ্যে। শুক্রবার কোয়েসের তরফ থেকে মেল করে ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আলভিটোকে আর ফুটবল সংক্রান্ত কোনও ব্যাপারে রাখতে পারবে না ক্লাব। সেই মেল পাওয়ার পরই ক্ষোভে ফুটছেন লাল-হলুদ কর্তারা। বলা হচ্ছে, আলভিটো কোয়েসের বেতনভুক্ত কেউ নন। তাঁকে মাইনে দেওয়া হয় ক্লাব থেকে। তাহলে কোয়েসের সমস্যা কোথায়? কাকে রাখা হবে আর কাকে হবে না, সেটা কোয়েস কী করে ঠিক কের দিতে পারে? এটা তাদের এক্তিয়ারে পড়ে না।
এটাও বলা হচ্ছে, আজ কোয়েসের আলভিটোকে পছন্দ হচ্ছে না। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এরপর যদি কল্যাণ মজুমদারকে যদি তাদের পছন্দ না হয়, তাহল তো তাঁকে সচিব পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হবে! শোনা যাচ্ছে, কিছু দিন ধরেই কিছু ফ্যান ক্লাব আলভিটোক নিয়ে কোয়েস কর্তাদের চিঠি দিচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, তাই হয়তো কোয়েস চাইছে না তিনি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকুন।
পরে অবশ্য আসল কারণ জানা গেল। এটিকের ফুটবলার কেভিন লোবোর সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। পুরোটাই আলভিটোর মাধ্যমে। সেটা মেনে নিতে পারেননি কোয়েস কর্তারা। তাই বলা হয়, যেহেতু কোচ আলেজান্দ্রো এখন দেশের বাইরে। তিনি ফেরার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এরইমধ্যে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল আবার দিল্লি ডায়নামোসের ফুটবলার সিয়াম হাঙ্ঘালকে সই করিয়ে নিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কোচ না থাকাকালীন কী করে তাঁকে সই করানো হল। আসল কথা লোবোর সঙ্গে যেহেতু ক্লাব কর্তারা কথা বলেছেন, তাই কোয়েস লোবো নিয়ে তেমন আগ্রহী নয়। আর ক্লাবের পক্ষ থেকে সব ফুটবলারদের সঙ্গে আলভিটোই কথা বলেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দিতে চাইছে কোয়েস। ক্লাব কর্তারা পুরো ব্যাপারটা নিয়ে বেশ বিরক্ত। যদিও তাঁরা এখনই বেশি কিছু বলতে চাইছেন না। এই ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি নেওয়া হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যা, তাতে ইস্টবেঙ্গল আর কোয়েসের মধ্যে বড়সড় একটা ফাটল ধরতে চলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.