সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতার (Qatar) আসার আগে লুইস এনরিকে বলেছিলেন, ‘‘আমরা আক্রমণাত্মক ও পাসিং ফুটবল খেলতে যাচ্ছি।’’ কোস্টা রিকার বিপক্ষে স্পেনের খেলা দেখতে বসে মনে হল, কথাগুলোর মধ্যে কতটা সারবত্তা রয়েছে। পাসিংয়ে সত্যি এত বৈচিত্র্য রাখা যায়? বল পজেশন এভাবে রাখা সম্ভব? চোখজুড়োনো ফুটবল। তাই বিরতির আগেই কোস্টা রিকাকে হতোদ্যম করে স্পেন এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে। ৯০ মিনিট পরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭-০। স্পেনের হয়ে জোড়া গোল করেন ফেরান তোরেস। বাকি গোলগুলি করেন ওলমো, অ্যাসেনসিও, গ্যাভি, সোলের এবং মোরাটা।
Spanish dominance 💪🇪🇸 |
Advertisement— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup)
আর সপ্তম স্বর্গে ওঠার পথে গুচ্ছ গুচ্ছ রেকর্ড করে ফেলেছে স্প্যানিশ (Spanish Armada) আর্মাডা। প্রথমত বিশ্বকাপে এটিই স্পেনের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ১৯৯৮ সালে বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে ৬-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। মজার কথা হল ২০১০ সালে যেবার স্পেন বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) জিতেছিল, সেবার সব মিলিয়ে ৮ গোল করে তারা। এবারের বিশ্বকাপের এক ম্যাচেই প্রায় সেই সংখ্যাটা ছুঁয়ে ফেলেছে স্পেন। শুধু তাই নয় ২০১০-এর পর বিশ্বকাপে এত বড় ব্যবধানে কেউ জেতেনি। শেষবার ২০১০ সালে পর্তুগাল উত্তর কোরিয়াকে হারিয়েছিল ৭-০ গোলে।
Record-breaking 🇪🇸
Spain have scored seven goals in a match for the first time at the
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup)
এখানেই শেষ নয়, রেকর্ডের আরও বাকি আছে। খেলা শুরুর ১১ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন দানি ওলমো। এই গোলের সুবাদে স্পেন বিশ্বকাপে করে ফেলে ১০০ গোল। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সদের সঙ্গে একাসনে বসে পড়ল স্পেনও। ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্ব ফুটবলকে চমকে দিয়েছিল স্পেন। ৩১ মিনিটের মধ্যে পেয়ে গিয়েছিল তিন গোল। বিশ্বকাপে এত দ্রুত সময়ে তিন গোল পাওয়ার ঘটনা দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। জার্মানি-ব্রাজিল ম্যাচ ২০১৪ সালে এর চেয়ে দ্রুত তিন গোল হয়েছিল। করেছিল জার্মানি। লুইস এনরিকের স্পেন মোট পাস করেছে ১০৪৩টা। এত সংখ্যক পাস বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে একটা দল করেনি। বল পজেশন ছিল ৮৫ শতাংশ। তার মানে কোস্টারিকার ফুটবলাররা ছিল স্রেফ দর্শকের ভূমিকায়। শুধু দলগত নয়, ব্যক্তিগত রেকর্ডও হয়েছে। ৭৪ মিনিটে গোল করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দ্রুততম গোলের মালিক হয়েছেন স্পেনের গ্যাভি। ১৮ বছর ১১০ দিন বয়সে বিশ্বকাপে গোল পেলেন তিনি। এর আগে এর থেকে কম বয়সে গোল পেয়েছেন শুধু পেলে।
স্পেন কোস্টারিকাকে হাসতে হাসতে উড়িয়ে দিলেও ইউরোপের আরেক হেভিওয়েট দল বেলজিয়ামকে জিততে হয়েছে বহু কষ্টে। মিচি বাৎসুয়াইর একমাত্র গোলে কানাডাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে বেলজিয়াম। ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে পেনাল্টি ঠেকিয়ে উজ্জ্বল গোলকিপার থিবো কুর্তোয়া। ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল কানাডার সামনে। বক্সের মধ্যে ইয়ানিক কারাস্কোর হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন করা কানাডিয়ানরা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি আলফান্সো ডেভিস। কাতারে কাপ অভিযানে কানাডার অন্যতম ভরসা তিনি। আর তাঁর ভুলেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয় কানাডার। ডেভিসের দুর্বল শট আটকাতে তেমন কষ্ট করতে হয়নি কুর্তোয়াকে। এদিন শুরু থেকে বেলজিয়ামের চোখে চোখ রেখে লড়াই করে কানাডা। ম্যাচ শেষে তাই বেলজিয়াম ফুটবল দলের অফিসিয়াল পেজে আলাদা করে ধন্যবাদ সূচক পোস্ট করা হল কুর্তোয়াকে নিয়ে।
MICHY 🙌 |
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.