ছবি: টুইটার
ইস্টবেঙ্গল: ৩ (নন্দ, ক্রেসপো-পেনাল্টি, ক্লেটন)
ওড়িশা এফ সি: ২ (মরিসিও, জাহু-পেনাল্টি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একযুগের অপেক্ষা। ফাইনালে উঠেও বারবার হারের হতাশা। অবশেষে জ্বালা জুড়োল। ১২ বছর পরে ট্রফি এল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ঘরে। ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে সুপার কাপ (Kalinga Super Cup) জিতল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওড়িশার বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিল। দুদলের লড়াই সমানে সমানে। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেলেও হাতছাড়া করে দুই দলই। ম্যাচের প্রথম গোল এল ৩৯ মিনিটে। লাল-হলুদ রক্ষণের ফাঁক গলে সোজা জালে বল জড়িয়ে দেন মরিসিও। এক গোলে পিছিয়ে থেকেই ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ করে ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নাওরেম মহেশকে নামালেন কুয়াদ্রাত। ওখান থেকেই বদলে গেল ম্যাচের রং। নন্দকুমারের সঙ্গে মহেশের জোড়া আক্রমণে চাপে পড়ে গিয়েছিল ওড়িশা রক্ষণ। তার ফলেই ৫২ মিনিটে নন্দর গোল। সেই চাপ ধরে রেখেই দশ মিনিটের মধ্যে ফের পেনাল্টি থেকে গোল ইস্টবেঙ্গলের। জোড়া গোল দিয়ে তখন জয় নিশ্চিত করে ফেলেছেন সল ক্রেসপোরা। তার পরেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন মোর্তাদা।
কিন্তু ফাইনাল ম্যাচের চিত্রনাট্য একেবারে অন্যভাবে সাজিয়েছিলেন ফুটবল দেবতা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষের কয়েক সেকেন্ডে গোলকিপার প্রভসুখন গিলের ভুলে পেনাল্টি পেল ওড়িশা। গোল করতে ভুল হয়নি জাহুর। জেতা ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল।
তবে গোটা ম্যাচ জুড়ে ছটফট করতে থাকা ইস্টবেঙ্গলকে অনেক বেশি শান্ত দেখাল সংযুক্ত সময়ের খেলায়। লাল কার্ড দেখে শৌভিক বেরিয়ে গেলেও মাথা ঠান্ডা রেখে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেল বিপক্ষের রক্ষণে। বেশ কয়েকটা সুযোগ হাতছাড়া হলেও ফল মিলল ১১১ মিনিটে। অসাধারণ পাসে এগিয়ে গিয়ে গোলপোস্টের কোনা ঘেঁষে বল জালে জড়িয়ে দিলেন ক্লেটন সিলভা। ১২ বছরের অপেক্ষা শেষ হল ওই একটা শটে। আবার ট্রফি এল ইস্টবেঙ্গলের ঘরে।
! ⚔️❤️
— East Bengal FC (@eastbengal_fc)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.