ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র একটা ম্যাচ আগেও ফুরফুরে ছিল দলের পরিবেশ। ডুরান্ড কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে জয়, তা-ও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে উৎসবের আমেজ ছিল লাল-হলুদ শিবিরে। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে হারতেই ‘ইস্টবেঙ্গল ফিরল ইস্টবেঙ্গলে।’ আইএসএলে আসার পর থেকে একটা বিষয়ে ধারাবাহিক ইস্টবেঙ্গল। নিজেদের হারের পর বারবারই রেফারিকে কাঠগড়ায় তুলে থাকে লাল-হলুদ শিবির। ব্যতিক্রম হল না বুধবারও।
ডায়মন্ড হারবার কাছে হারের পর ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো থেকে শুরু করে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার-একসুরে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। লাল-হলুদ শিবিরের বক্তব্য, ডায়মন্ড হারবারের দু’টো গোলই অবৈধ। কোচ অস্কার যেমন বলছিলেন, “প্রথমার্ধে আমাদের মাঝমাঠ সেভাবে ভালো খেলতে পারেনি ঠিকই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একটা-দু’টো বদল করার পর আমরাই খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। ওদের দু’টো গোল নিয়েই আমাদের সন্দেহ রয়েছে। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে ফাউল ছিল না। আর দ্বিতীয় গোলের আগেই হ্যান্ডবল হয়। এসব নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই ইস্টবেঙ্গলকে এমন রেফারিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে। হারলেও আমরাই আজকে সেরা দল। রশিদ-হামিদদের ঠিকমতো পাওয়া গেলে ম্যাচের ফল হয়তো অন্য হত।” শীর্ষকর্তা বলছিলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল একটু ভালো খেলা শুরু করলেই এমন রেফারিরা ম্যাচ খেলাতে চলে আসেন।”
ডুরান্ড সেমিফাইনালেই যাত্রা শেষ হয়ে যাওয়ায় আপাতত আর কোনও ম্যাচ নেই লাল-হলুদের সিনিয়র দলের। কারণ ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ পুরোটাই অন্ধকারে। ইস্টবেঙ্গল শিবির তাকিয়ে রয়েছে শুক্রবারের দিকে। সেদিন শীর্ষ আদালতে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। তারপরই দল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন কোচ অস্কার বলছিলেন, “আপাতত বৃহস্পতিবার ছুটি দিচ্ছি দলকে। তারপরের ছুটি নিয়ে আমরা কিছু ঠিক করিনি। শুক্রবার শুনেছি শুনানি হওয়ার কথা। সেখানে কী হয়, সেটা দেখার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপর ঠিক করব ফুটবলারদের লম্বা ছুটি দেওয়া হবে কি না।” মহেশ সিং, জিকসন সিং ও আনোয়ার আলিকে জাতীয় শিবিরে ছাড়ার বিষয়ে মানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান অস্কার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.