Advertisement
Advertisement
ISL

আইএসএলের জট কাটাতে ‘সুপ্রিম’ হস্তক্ষেপ দাবি করে ফেডারেশনকে চিঠি ১১ ক্লাবের, নেই ইস্ট-মোহন

কী লেখা হয়েছে সেই চিঠিতে?

11 clubs write to federation to resolve ISL impasse

ফাইল ছবি।

Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:August 9, 2025 2:01 pm
  • Updated:August 9, 2025 5:12 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী হবে তা জানতে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল আইএসএলের আট দল। যদিও সেখানে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে মুখে ‘আইএসএল হবেই’ বললেও টুর্নামেন্ট সম্পর্কে আর কিছু বলতে পারেনি। এমনিতেও আইএসএলের অনিশ্চয়তার মধ্যে ওড়িশা এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি এবং চেন্নাইয়িন এফসি ফুটবলার ও কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টা ক্লাবগুলির ‘নিজস্ব ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেছেন ফেডারেশন সভাপতি। অর্থাৎ এই ব্যাপারেও কোনও সমাধানসূত্র দিতে পারেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে ১১টা ক্লাব ফেডারেশনকে চিঠি দিল। যদিও তাতে সই করেনি মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল।

Advertisement

কিন্তু কেন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সই করেনি? জানা গিয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দুই ক্লাব কোনও আইনি লড়াইয়ে জড়াতে চায় না। দুই ক্লাবই ফেডারেশন-এফএসডিএল মামলায় পার্টি হতে চায় না। প্রসঙ্গত, আইএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে জট এখনও কাটেনি। এফএসডিএলের সঙ্গে এআইএফএফের চুক্তি মাস্টার্স রাইটস এগ্রিমেন্ট অর্থাৎ এমআরএ নবীকরণ নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। যে কারণে আগামী মরশুমের আইএসএল নিয়ে ডামাডোল অব্যাহত। তবে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল স্বেচ্ছায় কোনও আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে চায় না। তাদের বক্তব্য, আইএসএলে তারা ফুটবলকে ভালোবেসে যুক্ত হয়েছে। এর রয়েছে রয়েছে ব্যবসায়িক দিক। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, চিঠিতে সই না করার তালিকায় রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি-ও। তাদেরও সই না করার নেপথ্যে একই কারণ।

কল্যাণ চৌবেকে লেখা তাদের সম্মিলিতভাবে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “এআইএফএফের কাছে আমাদের অনুরোধ, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টা সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনার ব্যবস্থা করা হোক। আইএসএল-সহ অন্য টুর্নামেন্টের স্বার্থে মামলাকে জরুরি তালিকাভুক্ত করা হোক। এরপর আদালতের কাছে দ্রুত রায়দানের জন্য আর্জি করা যেতে পারে। আমাদের বিশ্বাস এই ধরনের পদক্ষেপ আইনিভাবে জরুরি। এই পদক্ষেপ ভারতীয় ফুটবলের সমস্ত পক্ষের জন্য সহায়ক।”

উল্লেখ্য, আগের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, আপাতত বিকল্প পথ একমাত্র সুপার কাপ। যা আইএসএলের আগে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে চালু করার কথা বলেছিল ফেডারেশন। ২০১৮ সালে ফেডারেশন কাপের বদলে চালু হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু আইএসএলের আগে সুপার কাপ শুরু হলে টুর্নামেন্টের ফরম্যাটই বা কেমন হতে চলেছে, তা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। এই আবহে ক্লাবগুলি চিঠি দিল ফেডারেশনকে। এখন দেখার, আইএসএল নিয়ে এই অচলাবস্থা কাটে কি না। 

অন্যদিকে, ৫ আগস্ট ন’জন রেফারির কাছ থেকে এআইএফএফ একটি সম্মিলিত চিঠিও পেয়েছিল। সেখানে তাঁদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। ফেডারেশন একটি বিবৃতিতে সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে জানিয়েছে, রেফারি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রক্রিয়ায় চুক্তি নবীকরণ করা হবে। সেই কারণেই সকল পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এবার দেখার, আইএসএলের ক্লাবগুলির চিঠির উত্তরে কী বলে ফেডারেশন?

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ