সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওভালে পঞ্চম টেস্ট জিতে সিরিজ ২-২ ড্র রেখে বিলেত থেকে দেশে ফিরেছে টিম ইন্ডিয়া। ওই টেস্টে শিরোনামে চলে এসেছিল আকাশ দীপ এবং বেন ডাকেটের ‘লড়াই’। ডাকেট আউট হতেই আগ্রাসী সেলিব্রেশন না করে ইংরেজ ব্যাটারের কাঁধে গিয়ে হাত রাখেন। এই ঘটনার পর অনেকেই ভারতীয় পেসারের। টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর দুই ক্রিকেটারের মধ্যে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন আকাশ দীপ।
রেভস্পোর্টজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আকাশ বলেন, “ডাকেটের বিপক্ষে আমার রেকর্ড বেশ ভালো। ওকে বেশ কয়েকবার আউট করেছি। সব সময় বাঁ-হাতিদের বিরুদ্ধে বল করার জন্য মুখিয়ে থাকি। ডাকেটও এর ব্যতিক্রম নয়। সেদিন ও চেষ্টা করছিল, আমার লাইন-লেংথ নষ্ট করে দিতে। সেই কারণে স্কুপ, রিভার্স সুইপের মতো শট খেলছিল। সেই সময় আমার কাছে এসে ও বলে, এটা ওর দিন। আমি নাকি ওকে আউট করতে পারব না।”
রীতিমতো রীতিমতো বাজবলের মেজাজে খেলে ৩৮ বলে ৪৩ রান করে আকাশ দীপের বলেই আউট হয়ে যান ডাকেট। তবে ভারতীয় পেসার স্বীকার করেছেন, ডাকেট অমন ‘আনঅর্থোডক্স’ শট খেলায় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সংযোজন, “বিষয় হল, কোনও ব্যাটার যদি বাইশ গজে বেশি নাড়াচাড়া করে কিংবা ওই ধরনের শট খেলে, তাহলে লাইন, লেংথের উপর প্রভাব পড়বেই। কারণ এক্ষেত্রে বোঝা যায় না, পরবর্তীতে সেই ব্যাটার ঠিক কী করতে চলেছে। সেদিন এমনই হচ্ছিল। খুবই দ্রুত রান তুলছিল ইংল্যান্ড। সেই সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল পার্টনারশিপ ভাঙা অর্থাৎ একটা উইকেট।”
সেদিন দারুণ ছন্দে ছিলেন ডাকেট। কিন্তু স্কুপ মারার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সুযোগ নিতে ভুল করেননি আকাশ দীপ। স্কুপ মারতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডাকেট। এরপর বাংলার পেসার হাসিমুখে ইংরেজ ব্যাটারের কাঁধে গিয়ে হাত রাখেন। কিছু একটা বলেনও তিনি। ‘বিদায়বার্তা’য় কী কথা বলেছিলেন ডাকেটকে? আকাশ বলেন, “প্রথম ইনিংসে বেশি রান করতে পারিনি আমরা। সেই কারণে ইংল্যান্ডের উইকেট তোলা খুবই জরুরি ছিল। আউট করার পর ওকে বলেছিলাম, ‘কখনও তুমি মিস করবে, কখনও আমি উইকেট পাব। কিন্তু সব সময় তুমি জিতবে না। এবার যেমন আমি জিতলাম।’ আসলে ওর কথার জবাব এভাবেই ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পুরোটাই ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি মেনেই হয়েছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.