সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট মহল এখন বিষণ্ণ। কিন্তু তা বলে কি আর আনন্দানুষ্ঠান হবে না! বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার সপ্তাহখানেক কাটতে না কাটতেই আনন্দ অনুষ্ঠানে মাতলেন বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। মায়ের ইচ্ছামতো চুপিসারে মামাতো বোনকে বিয়ে করেছিলেন মুস্তাফিজুর। বিশ্বকাপ মিটতেই সেরে ফেললেন রিসেপশন। বাংলাদেশি পেসারের রিসেপশনে করা হয়েছিল এলাহী আয়োজন।
গত ২২ মার্চ সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমাইয়া পারভিন শিমুকে বিয়ে করেন মুস্তাফিজুর রহমান। শিমু বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। শিমুর বাবা রওনাকুল ইসলাম বাবু মুস্তাফিজুর রহমানের মেজো মামা। মামাতো বোনকে বিয়ে করেছিলেন মায়ের ইচ্ছাতেই। সেসময়ই মুস্তাফিজুর জানিয়ে দেন, বিয়েটা চুপিসারে হলেও বউভাতের আয়োজন হবে জাঁকজমক করেই।
সেই অনুষ্ঠানটি নিজের বাড়িতে আয়োজন করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও এলাকাবাসী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই তারকা ক্রিকেটারের বউভাত অনুষ্ঠান। শনিবার দুপুরে শুরু হয় বৌভাত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন। এর আগে সকাল থেকে আসতে শুরু করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এদিন, বউভাত উপলক্ষ্যে ৩ হাজার মানুষের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হলেও, বিবাহবাসরে উপস্থিত হন তাঁর অনেক বেশি মানুষ।
কলেজ ছাত্রী শিমুকে বধূবেশে বেশ মিষ্টি দেখাচ্ছিল। বউভাতের পুরো সময়টাই স্ত্রীর পাশে ঠায় বসেছিলেন বাংলাদেশের ‘কাটার মাস্টার’। কোনও অনুষ্ঠানে একটিও কথা বলেননি তিনি। অতিথিদের সঙ্গে সামান্য কুশল বিনিময় করলেও সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি মুস্তাফিজুর। তাঁর বাবা আলহাজ আবুল কাশেম গাজী অবশ্য ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে আশীর্বাদ চেয়ে বলেন, ‘আপনারা সবাই আমার ছেলে মুস্তাফিজের জন্য দোয়া করবেন। আপনারা যারা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এসেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.