সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশ সফরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে বিসিসিআই। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের ব্যর্থতার পরই কড়া অবস্থান নেয় বোর্ড। ক্রিকেটমহলের একাংশের ধারণা, কোচ গৌতম গম্ভীরের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ। ইংল্যান্ড সফরে তরুণ তুর্কিদের উপস্থিতিতে হয়তো সেই নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে না। কিন্তু বোর্ডের এই নির্দেশের সঙ্গে একেবারেই সহমত নন প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না।
তাঁর সাফ বক্তব্য, “বিদেশ সফরে পরিবারের থাকা দরকার। আমি বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের বিরোধী। দু’মাসের সফরে পরিবারের পুরো থাকা দরকার। পরিবাররা প্লেয়ারদের শত্রু নয়। তারাও চায়, ক্রিকেটাররা রান করুক, দেশ জিতুক। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও ভাবতে হবে। যখন সময় ভালো যায় না, তখন কথা বলার মানুষ দরকার। অনেক সময় কোচ বা অধিনায়কের সঙ্গেও কথা বলা যায় না।”
রায়না উদাহরণ দিয়ে বলছেন, “মনে করুন, বিরাট কোহলি খেলছেন আর তাঁর মেয়ে হাততালি দিচ্ছে, কতটা গর্বের মুহূর্ত হবে। কোহলি তো তখন আগুন জ্বালিয়ে দেবে।” ঘটনা হচ্ছে, বিদেশে পরিবার নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে কড়া অবস্থান গৌতম গম্ভীরের। তিনি বলেছেন, “দেশের হয়ে বিদেশে খেলতে যাওয়াটা ছুটি কাটানো নয়। সেটা সকলকে বুঝতে হবে।” ফলে রায়নার ‘পরিবাররা প্লেয়ারদের শত্রু নয়’ মন্তব্য যেন ঘুরিয়ে গম্ভীরের বিরোধিতাই।
গম্ভীর আরও বলেছিলেন, “আমি জানি পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে এখানে আমরা একটা উদ্দেশ্যে এসেছি। ছুটি কাটাতে নয়। এই ড্রেসিংরুমে খুব কম মানুষই এমন আছেন যারা দেশকে গর্বিত করার সুযোগ পান। সেদিকেই লক্ষ্য থাকা উচিত।” উল্লেখ্য, বোর্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিদেশ সফরে আর পূর্ণ সময়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাখতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। ৪৫ দিনের সফরে সর্বাধিক ১৪ দিন পরিবারকে সঙ্গে রাখা যাবে। তার চেয়ে কম দিনের সফর হলে সেটা এক সপ্তাহ। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি করেন বিরাট কোহলি। কেউ কেউ মনে করেন, কোচ গম্ভীরের সঙ্গে বিরাট-রোহিতদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিবাদের কারণও এটাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.