ফাইল ছবি
আলাপন সাহা: আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সিএবি নির্বাচন। পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ করতে হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঠিক করে ফেলেছেন, তিনি সিএবি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াবেন। শনিবার দুপুরে গাড়িতে সিএবি আসার সময় বললেন, “ভোট হোক না হোক, আমি সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াচ্ছি। আমি নির্বাচন লড়েই আসতে চাই।” কিন্তু সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে এলে কী কী করবেন তিনি? এটা ঘটনা যে, বাংলা ক্রিকেটের অবস্থা বর্তমানে খুব ভালো নয়। মাঠে, মাঠের বাইরেও। সব শুনে সৌরভ তাঁর সম্ভাব্য ‘রিস্ট্রাকচারিংয়ের’ একটা খসড়া সাজিয়ে দিলেন সংবাদ প্রতিদিন-কে।
১) ভিশন প্রজেক্ট: আমি মনে করি, ক্রিকেটার তুলে নিয়ে আসার সেরা মঞ্চ হল ভিশন। সিএবি’র প্রশাসনে আসার পর মুরলী, লক্ষ্মণ-সহ আরও অনেককে নিয়ে এসে ভিশন শুরু করেছিলাম। মুকেশ থেকে শুরু করে আকাশ, এরা সবাই ভিশনের প্রোডাক্ট। লক্ষ্মণ, মুরলীদের পরামর্শমতো আমাদের এখানকার কোচেরা ক্রিকেটারদের দেখভাল করত। ওই প্রজেক্ট বাংলা ক্রিকেটকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যায়, সেই রেজাল্ট সবার সামনে। আমরা রনজি ফাইনাল খেলেছি দু’বার। নকআউটে নিয়মিত খেলছি। ভিশনের আসল লক্ষ্য হল, ক্রিকেটারদের প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখা। ওদের স্কিল লেভেল আরও বাড়ানো। মাঝে করোনার জন্য ভিশন প্রজেক্টটা একটু ‘পিছিয়ে’ পড়েছিল। তবে আবার এটা শুরু হয়েছে। ভিশনে আরও বেশি করে জোর করে দিতে হবে। ক্রিকেটার এখান থেকে উঠে আসবে। প্রশাসক হিসেবে আমাদের দেখতে হবে মাঠের বাইরে ক্রিকেটাররা যাতে প্রপার ফেসিলিটি পায়। ওদের যেন কোনও কিছুতে সমস্যা না হয়।
২) ভূমিপুত্রে জোর: ইদানীংকালে একটা ব্যাপার নিয়ে খুব হইচই হচ্ছে। বাইরে থেকে ক্রিকেটাররা এখানে এসে খেলছে। অনেকের থেকেই শুনছি, সেই সংখ্যাটা নাকি এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। রাজদা (স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়) এটা নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে। বেশ কিছু নতুন নিয়ম করা হয়েছে। আমাদের বাংলার ক্রিকেটাররা যাতে অনেক বেশি সুযোগ পায়, সেই ব্যাপারটা দেখতে হবে।
৩) জাতীয় পর্যায়ে বাংলার প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো: অভিমন্যু, আকাশ, মুকেশ – এরা ভারতীয় দলে খেলছে। অভিষেক (পোড়েল) উঠে আসছে। মহিলাদের টিমে রিচা রয়েছে। তিতাস (সাঁধু) খেলেছে। ধারা গুজ্জর, তনুশ্রী সরকার, তিতাস ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় খেলে এল। বাংলা থেকে ক্রিকেটাররা ভালো পারফর্ম করছে বলেই ভারতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছে। তবে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়াতে হবে। আমাদের দেখতে হবে যাতে বাংলা থেকে আরও বেশি ক্রিকেটার ভারতীয় টিমে খেলতে পারে। তার জন্য যা যা দরকার, সেটা করতে হবে।
৪) জুনিয়র ক্রিকেট নিয়ে প্রোজেক্ট: ভিশনের মতো আরও একটা প্রোজেক্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হল জুনিয়র ক্রিকেট। অনূর্ধ্ব পর্যায়ে ক্রিকেটে আরও বেশি করে জোর দেব। কারণ ক্রিকেটারদের ভিত তৈরি হয় জুনিয়র পর্যায় থেকেই। জুনিয়র পর্যায়ের ক্রিকেটকে আরও কম্পিটিটিভ করতে হবে। কারণ যত বেশি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট হবে, তত বেশি কোয়ালিটি ক্রিকেটার উঠে আসবে। গ্রাসরুট লেভেল যত ভালো হবে, তত বেশি ভালো ক্রিকেটার উঠবে।
৫) নতুন অ্যাকাডেমি: নতুন একটা অ্যাকাডেমি করার লক্ষ্য রয়েছে। একটা জমি রয়েছে। সেখানেই এই নতুন অ্যাকাডেমি করার ভাবনাচিন্তা। যেখানে সব ধরনের ক্রিকেটীয় ফেসিলিটি থাকবে। সারাবছর ক্রিকেটাররা সেখানে ট্রেনিং করতে পারবে। আরও উন্নতমানের সব কিছু হবে। সেই চেষ্টা করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.