সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জন ছোটবেলার বন্ধু। কিন্তু এশিয়া কাপে দুই ‘বন্ধু’র একজন ভারতের, আরেকজন আমিরশাহীর জার্সি গায়ে মুখোমুখি হয়েছেন। বলা হচ্ছে শুভমান গিল এবং সিমরনজিৎ সিংয়ের কথা। একটা সময় দু’জনেই অনুশীলন করতেন পাঞ্জাবে। কিন্তু গিল কি মনে রেখেছেন সিমরনজিৎকে? ম্যাচের আগে আমিরশাহী স্পিনার সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তবে এশিয়া কাপের ম্যাচে শুভমান প্রমাণ করে দিলেন পুরনো বন্ধুকে মনে রেখেছেন তিনি।
ভারত তখন ম্যাচ জয়ের দোরগোড়ায়। আমিরশাহী অধিনায়ক মহম্মদ ওয়াসিম বল তুলে দিলেন সিমরনজিতের হাতে। ৩৫ বছর বয়সি স্পিনারের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাকফুটে এসে বাউন্ডারি হাঁকালেন শুভমান। আর চার মেরে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ স্পিনারের দিকে এগিয়ে গেলেন। এরপর তাঁর সঙ্গে হাত মেলান। তাঁকে জড়িয়েও ধরেন গিল। সিমরনজিৎও একগাল হেসে স্বাগত জানান গিলকে।
একযুগ আগে লুধিয়ানার ক্রিকেটারের সঙ্গে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে অনুশীলন করতেন গিল। সেই কাহিনি কি এখনও মনে আছে ভারতীয় মহাতারকার? ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে সংশয়ে ছিলেন সিমরনজিৎ। স্মৃতি ঘেঁটে তিনি বলেছিলেন, “আমি শুভমানকে ছোট থেকেই চিনি। কিন্তু জানি না ও আমাকে মনে রেখেছে কি না। সেটা ২০১১-১২ সালের কথা। ওর বয়স তখন হয়তো ১১-১২ বছর হবে। আমরা ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুশীলন করতাম। তারপর শুভমান ওর বাবার সঙ্গে আসত। আমি নিজের অনুশীলনের পর শুভমানকে আলাদা করে বল করতাম।”
শুভমান যে তাঁর ছোটবেলার বন্ধুকে ভুলে যাননি, তা বোঝালেন তিনি। উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের জেলা ক্রিকেটে সিমরনজিৎ নিয়মিত খেলেছেন। ২০১৭ সালে রনজির সম্ভাব্য দলেও ছিলেন। কিংস ১১ পাঞ্জাবের নেটে বল করতেন একসময়। কিন্তু ২০২১ সালে দুবাই আসার পর কোভিড অতিমারির কারণে দেশে ফিরতে পারেননি। তারপর আমিরশাহীর ঘরোয়া ক্রিকেটের তিনটি ধাপ পার করে মূল দলে সুযোগ পান সিমরনজিৎ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.