ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন মাস। এই দীর্ঘ সময়ে আরসিবির সোশাল মিডিয়াও নীরব থেকেছে। কোনও ইস্যুতেই পোস্ট করা হয়নি দলের তরফে। অবশেষে বুধবার নীরবতা ভাঙল আরসিবির সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের। দলের তরফে জানানো হল, প্রচণ্ড যন্ত্রণা থেকেই এই নীরবতা। সেই সঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ‘আরসিবি কেয়ার্স’ নামে নতুন উদ্যোগের কথাও ঘোষণা করল চলতি বছরের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।
বৃহস্পতিবার দলের তরফে সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, ‘যে জায়গাটা আগে উচ্ছ্বাস, স্মৃতি আর স্মরণীয় মুহূর্তে ভরে থাকত, ৪ঠা জুনের পর সেই জায়গাটা একেবারে বদলে গিয়েছে। ওইদিন আমাদের সকলের হৃদয় ভেঙেছে। তারপর থেকেই আমরা নীরব থেকেছি। প্রচণ্ড যন্ত্রণা থেকেই এই নীরবতা। অনেক কিছু শুনেছি। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে এমন একটা পদক্ষেপ করার কথা ভেবেছি, যেটা কেবল একটা প্রতিক্রিয়া নয়। এমন একটা পদক্ষেপ যার প্রতি আমরা সকলে আস্থা রাখি।’
ওই পোস্টেই বলা হয়েছে নতুন ‘আরসিবি কেয়ার্স’-এর কথা। ভক্তদের পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁদের ভালোবাসাকে সম্মান জানানোর জন্য, তাঁদের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার জন্যই এই ‘আরসিবি কেয়ার্স’। আইপিএল জয়ের উৎসব নয়, আরসিবি সমর্থকদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই শুরু হচ্ছে এই ‘আরসিবি কেয়ার্স’। সূত্রের খবর, প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে আরসিবির তরফে। যেসব ভক্তরা আহত হয়েছেন তাঁদের জন্য বিশেষ তহবিল এবং চিকিৎসার সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, আইপিএল ফাইনালের পরদিনই বিজয় মিছিলের প্রস্তাবে প্রবল আপত্তি ছিল পুলিশের। শেষ পর্যন্ত রোড শো বাতিল করা হয়। কিন্তু সেটা আবার আরসিবির তরফে ঘোষণা করা হয়নি। উলটে চিন্নাস্বামীর মূল অনুষ্ঠানের ঘণ্টা দুয়েক আগেও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই বিজয় শোভাযাত্রা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সেই মতো বিরাট সংখ্যক মানুষ জড়ো হন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। তারপরেই ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.