ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তাঁকে অনেকেই ডাকেন টিম ইন্ডিয়ার ‘ফ্যাশন আইকন’। হার্দিক পাণ্ডিয়ার হেয়ার স্টাইল, ট্যাটু কিংবা হিরে খচিত কানের দুল নিয়ে কম চর্চা হয়নি। এখন চর্চায় তাঁর ঘড়ি। যার দাম ২০ কোটি টাকা। এবার হার্দিকের নাম না করে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেকেআর তারকা বরুণ চক্রবর্তী।
কী বলেছেন টিম ইন্ডিয়ার এই ‘রহস্য স্পিনার’? তাঁর কথায়, ৩ লক্ষ টাকার ঘড়ি পরে কখনও বন্ধুদের সামনে যেতে পারবেন না। কারণ টাকার গুরুত্ব তিনি বোঝেন। বরুণ চক্রবর্তী বলেন, “অভাব কী সেটা দেখেছি। ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়া আমি কোনও টাকা জমাতে পারিনি। আমার মানসিকতা এখনও মধ্যবিত্ত। আমি জানি, টাকার ক্ষমতা কতটা। তাই বুঝেশুনেই তা খরচ করা উচিত।”
উল্লেখ্য, পাণ্ডিয়ার যে ঘড়িটি নিয়ে চর্চা, তা রিচার্ড মিলের একটি বিশেষ সংস্করণের। যার নাম ‘আরএম ২৭-০৪’। যা প্রথম নজরে আসে এশিয়া কাপের প্রথম অনুশীলন সেশনে। ঘড়িটি সীমিত সংস্করণের। অর্থাৎ, সহজে পাওয়া যায় না। গোটা বিশ্বে মাত্র ৫০টা এই মডেলের ঘড়ি রয়েছে। অবাক করা তথ্য হল, হার্দিকের ঘড়ির মূল্য এশিয়া কাপের মোট পুরস্কারমূল্যের থেকে অনেক বেশি ছিল। তাছাড়াও ঘড়িটির মূল্য এশিয়া কাপে শিরোপাজয়ী দলের পুরস্কারমূল্যের চেয়ে ৮ গুণ বেশি।
বরুণ চক্রবর্তীর কথায়, “আমি মনে করি, কেবল অর্থ দিয়ে নিজের জীবন পরিবর্তন করার পরিবর্তে অন্য কারওর জীবন বদলানো যায়। এতে টাকার সঠিক ব্যবহার হয়। সেই কারণে ৩০-৪০ লক্ষ টাকার ঘড়ি কিনতে অপরাধবোধ হয়। এই টাকা দিয়ে তো কারও দুই বা তিন প্রজন্মের অর্থ সমস্যা মেটানো সম্ভব।”
তাঁর সংযোজন, “একবার পছন্দ হয়েছিল বলে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা দামের ঘড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু ঘড়ি কেনার পর ভেতরে ভেতরে অনুতপ্ত হয়েছিলাম। সেই ঘড়ি পরতে পারি না। আলমারিতে তোলা রয়েছে। আসলে আমি যাদের সঙ্গে বড় হয়েছি, তাদের কেউ খাবার ডেলিভারি দেয়। তাই আমি কল্পনাও করতে পারি না, এত দামি ঘড়ি পরে তাদের সামনে যাব। ওরা তো আমার বন্ধু। তাই এই ঘড়ি পরে তাদের সামনে গেলে মনে হবে ওদের অসম্মান করছি। এটা আমার নিজস্ব ব্যাপার। এটা নয় যে, এগুলো বলে আমি অন্য কাউকে বিচার করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.